এবার মরণব্যাধি নিয়ে বিয়ে করতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন বর। ঘটনাটি মূলত ঘটেছে ভারতে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে ঠেকাতে গিয়েছিলেন স্থানীয় এক আশাকর্মী। বিয়ে বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি তিনি বিয়েতে আপত্তি জানিয়ে বরের খোঁজ খবর নেন। আর আসল তথ্য বেরিয়ে আসে! জানা গেছে, ওই ব্যক্তি এইচআইভি পজিটিভ। নিজের অসুস্থতা লুকিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। পরে পুলিশ এসে সবাইকে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার আশুতিয়া গ্রামে।
ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নাবালিকা মেয়ের বাড়ির বেহাল দশা। পরিবারের কষ্ট লাঘব করতে বাবা-মা নীরবে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে আসছিলেন। এত গোপনে বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছিল যে একটা কাকও খেয়াল করেনি। কিন্তু বিয়ের দিন সকালে বাড়িতে তোলপাড় শুরু হলেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। এরপর নাবালিকার বিয়ে ঠেকাতে সকালে সেখানে ছুটে আসেন স্থানীয় আশাকর্মীরা।
নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করছেন কেন? তারা এই প্রশ্ন তুলে বিয়েতে আপত্তি জানান। কিন্তু কনের বাড়ির আপত্তির মুখে তিনি ফিরেছেন। পরে তারা জাহাজটি খুঁজতে থাকে। জানতে পারেন ছেলের বাড়ি পূর্ব রাধাপুর গ্রামের পাশে। এরপর তিনি সরাসরি ওই গ্রামের আশাকর্মীর সঙ্গে তার ছেলের খোঁজ খবর নেন। তখনই আসল রহস্য বেরিয়ে আসে। জানা গেছে, ওই যুবক কাজের জন্য বিদেশে থাকেন। তিনি এইচআইভি পজিটিভ। তিনি এখনো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে সব তথ্য পাওয়া যাবে।
এ খবর শোনার পর আশাকর্মীর চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। নিজের অসুস্থতা লুকিয়ে যেভাবে কাউকে বিয়ে করতে যাচ্ছিল সেটা বড় অপরাধ। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। খবর পেয়ে গ্রামে আসে ভগবানপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত বর ও তার সঙ্গীদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে মেয়ের জামাই বা শ্বশুর কেউই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। এই ঘটনায় হতবাক গ্রামবাসীও। অভিযুক্ত যুবকের পাশাপাশি নাবালিকা মেয়ে ও তার বাবা কালিপদ দাসকেও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিজের এইচআইভি লুকিয়ে বিয়ে করতে যাওয়ার ঘটনায় গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নিজের অসুস্থতা লুকিয়ে বিয়ে করতে গিয়ে ধরা পড়ার ঘটনাটি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে এবং সেই সাথে দেখা যাচ্ছে এই ঘটনায় খোদ হতবাক গ্রামবাসীও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।