ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে দেখা যায় বাংলাদেশে ব্যাপক উন্মাদনা চলে বিশেষ করে বাংলাদেশে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার সমার্থক বেশি রয়েছে। ফুটল বিশ্বকাপ এলেই এই উন্মাদনা বেড়ে যায়। এবারের কাতার বিশ্বকাপ জয় করেছে আর্জেন্টিনা এবং এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশী দর্শকদের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে তারা। যার কারনে দেখা গেছে বিভ্নিন্ন সময় তারা বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
ঘিরে বাঙালির উন্মাদনা ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে গোটা বিশ্বের। এদেশের মানুষ তাদের প্রিয় দলের প্রতি বিভিন্নভাবে তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করে। এমনই একজন ফেনীর আব্দুল মতিন।
প্রিয় দল আর্জেন্টিনার পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে তিনি গুরুতর আহত হন এবং হাত-পা হারান। তবে প্রিয় দল আর্জেন্টিনার প্রতি ভালোবাসা একটুও কমেনি।
নিজ শহর ফেনীতে যেখানেই আর্জেন্টিনা ভক্তদের ভিড়, মতিনই মধ্যমণি। পরিচয় পাল্টে ‘মতিন আর্জেন্টিনা’ নামে পরিচিতি পান তিনি। অবশেষে সেই ভালোবাসার কদর পাচ্ছেন মতিন। আর্জেন্টিনা দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন যে তারা মতিনকেও তাদের দেশে নিয়ে যাবেন।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো দূতাবাসের উদ্বোধন করেন।
এ সময় মতিনের সঙ্গে কথা হয় তার। মতিন কি চায় জানতে চাই। এরপর মতিন বলেন, যে দেশ ফুটবলকে এত ভালোবাসে তাকে নিজের চোখে দেখতে চান তিনি। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো বলেন, ৪৫ বছর পর আবার দূতাবাস চালু হচ্ছে। সব প্রক্রিয়া শেষ হলেই মতিনকে তাদের কাছে নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আর্জেন্টাইনদের জন্য এটি একটি বড় অর্জন। কেউ আর্জেন্টিনা দলকে এত ভালোবাসে, এটা আর্জেন্টিনার নাগরিকদের জন্য গর্বের বিষয়। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মতিনকে নিজ দেশের ফুটবল দলের অফিসিয়াল জার্সিসহ বিভিন্ন উপহার দেন।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো বলেছেন, আজ (সোমবার) আমি বাংলাদেশ ও দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। আশা করছি, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও আর্জেন্টিনার প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে আর্জেন্টিনার প্রতি মতিনের প্রেমের খবর প্রকাশিত হয়। ফলে মতিনের কথা জানতে পারে আর্জেন্টিনা সরকার। সে দেশের মিডিয়াতেও তাকে নিয়ে লেখালেখি হয়। অবশেষে, মতিন আর্জেন্টিনা সরকারের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পান।