সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাংসের বিকল্প হিসেবে কাঁঠালের গুরুত্ব তুলে ধরে কাঁঠালের নানা রেসিপির কথা বলেছেন যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আব্দুল হয় সঞ্জু। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বানরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে এখন মার্কিন ও রুশ বিড়ালের কাঁঠালের বার্গার ভাগ করার দায়িত্ব নিয়েছেন।
অথচ এই খেলায় বানর হওয়ার কথা ছিল মার্কিন অথবা রুশদের।
রুশ বানরকে টেনে এনে তাঁকে বিড়াল বানিয়ে বানর হয়ে গেলেন মোমেন।
ভালো!
কাঁঠাল গাছের বানর!
——
গল্পঃ
একদা দুটো বিড়াল গৃহস্থের ঘর হতে একটা কাঁঠালের বার্গার চুরি করে পাশের ঝোপে নিয়ে গেল৷ কিন্তু বিপত্তি ঘটল ভাগাভাগি নিয়ে। কাঁঠালের বার্গারটি সমান ভাগ করতে যেয়ে টুকরো দুটো ছোট বড় হলো। এখন বিড়াল দুটোই বড়টা নিতে চাইল। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। অনেকক্ষণ যাবৎ চলছে তাদের দু’য়ের মধ্যে দেনদরবার। কিন্তু কোন সমাধান হচ্ছে না। এমন সময় এক বানর যাচ্ছিল পাশ দিয়ে। দুই বিড়ালের এই অবস্হা দেখে জিগ্গেস করল,
— কি নিয়ে এতো দেনদরবার?
বিড়াল দুটো কাঁঠালের বার্গার চুরি এবং ভাগাভাগির কাহিনী বর্ণনা করলে বানর বলল,
— এই ব্যপার! কাঁঠালের বার্গারের টুকরো দুটো দাও আমি সমান ভাগে ভাগ করে দিচ্ছি৷
বানর বার্গারের টুকরো দুটো হাতে নিয়ে যে টুকরোটি বড় তাতে কামড় দিয়ে কিছু খেয়ে নিল। তারপর দেখল অপরটি বড় দেখাচ্ছে। এখন বানর তাতেও কামড় বসাল। এভাবে কামড়ের পর কামড় দিতে দেখে বিড়াল দুটো বলে উঠল,
— ওহে বানর ভাই তোমাকে আর কাঁঠালের বার্গার সমান ভাগ করতে হবে না। যেভাবে আছে সেভাবেই আমরা নিয়ে নেব৷ আমাদের বার্গারের টুকরো দুটো ফিরিয়ে দাও৷আগামীকাল থেকে মার্কিন ও রুশ বিড়াল চুপ হয়ে গেলে বুঝবেন কাঁঠাল গাছের বানরের ভূমিকা থেকে তাঁরা শিক্ষা নিয়েছে।