সম্প্রতি না ফেরার দেশে চলে গেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাজেদা চৌধুর তার বর্ণাড্য রাজনৈতিক জীবনে নানা দাযিত্ব পালন করেছেন সংসদ উপনেতা এবং আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেছেন তিন। তবে তার এই চলে যাওয়া রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল।
যারা সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে যান, তাদের ভিড়ে একটু ব্যতিক্রমই ছিলেন শামা ওবায়েদ। যদিও তিনি শুরুতেই স্পষ্ট করেন, দলের পক্ষ থেকে আসেননি তিনি। বলেন, ‘আমার বাবার সঙ্গে উনি রাজনীতি করেছেন। আমার বাবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। রাজনীতি এবং দলের ওপরে ওনাদের সম্পর্ক ছিল। আমি ওনার সঙ্গে ২০০৯ এবং ২০১৮ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। যখনই ওনার সঙ্গে দেখা হয়েছে, আমাকে উনি অত্যন্ত স্নেহের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন। আমি দোয়া করছি, আল্লাহ ওনাকে বেহেশত নসিব করুক।’
আওয়ামী লীগ নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। বলেছেন, দলের পক্ষ থেকে নয়, নিজ এলাকার পক্ষ থেকে এসেছেন তিনি।
রোববার রাতে মারা যান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাজেদা চৌধুরী, যার বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দায়। একই এলাকায় বাড়ি শামা ওবায়েদের, যার বাবা কে এম ওবায়দুর রহমান ছাত্রলীগের রাজনীতি করে উঠে এসেছেন। তার রাজনৈতিক গুরু ছিলেন সাজেদা।
কে এম ওবায়েদ বিএনপিতে যোগ দেয়ার পর তার সঙ্গে সাজেদার লড়াই হয়েছে ভোটে। ওবায়েদের মৃত্যুর পর লড়াইটা হয় তার মেয়ে শামার সঙ্গে। গত দুবারের লড়াইয়ে শামা হেরেছেন বড় ব্যবধানে। সেই স্মৃতিচারণ করে বিএনপি নেত্রী বলেছেন, তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছ থেকে স্নেহ পেয়েছেন সব সময়।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাজেদার মরদেহ সোমবার নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন তার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
যারা সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে যান, তাদের ভিড়ে একটু ব্যতিক্রমই ছিলেন শামা ওবায়েদ। যদিও তিনি শুরুতেই স্পষ্ট করেন, দলের পক্ষ থেকে আসেননি তিনি।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নে শামা বলেন, ‘আমি আমার এলাকার পক্ষ থেকে এসেছি।
‘ওনারা আজকে সকালে (নগরকান্দায়) সেখানে গিয়েছেন। আমি গিয়ে ধরতে পারিনি। উনি আমার এলাকার মানুষ। আমার মুরুব্বি। আমি আমার মুরুব্বিকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।’
রাজনীতিক সাজেদার প্রতি শ্রদ্ধাও জানান শামা। বলেন, ‘সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এ দেশের রাজনীতিতে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ওনার অবদান অবিস্মরণীয়।
‘আমার বাবার সঙ্গে উনি রাজনীতি করেছেন। আমার বাবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। রাজনীতি এবং দলের ওপরে ওনাদের সম্পর্ক ছিল। আমি ওনার সঙ্গে ২০০৯ এবং ২০১৮ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। যখনই ওনার সঙ্গে দেখা হয়েছে, আমাকে উনি অত্যন্ত স্নেহের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন।
‘আমি দোয়া করছি, আল্লাহ ওনাকে বেহেশত নসিব করুক।’
রাজনৈতিক অঙ্গনের সকলেই শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সাজেদা চৌধুরীর উদ্দেশে এবং সেই সাথে রাজনৈতিক অঙ্গনে অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল একথা ও বলছেন অনেকে। আওয়ামীলীগ বিএনপির নেতা কর্মীরা সবাই নির্বিশেষে তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্চেন এবং রাজনৈতিক জীবনে কার সাথে কেমন সম্পর্ক ছিল তা নিয়ে অনেকে স্মৃতিচারণ করছেন।