বর্তমানে দেখা যাচ্ছে হিরো আলমকে নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে বিশেষ করে নির্বাচনে হারার পরে তিনি সকলের নজরে এসেছেন।রাজনৈতিক অঙ্গনে তাকে নিয়ে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। হিরো আলম জানান, এই মুহূর্তে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে চান না, তবে ভবিষ্যতে নতুন দল গঠন করতে চান।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের ‘খালেদ মহিউদ্দিন জানতে চায়’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদ মুহিউদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, এখন যেসব রাজনৈতিক দল আছে, সব একইভাবে চলছে। দল হলে পরিবর্তন আনতে চাই। আমি নতুনদের সুযোগ দিতে চাই।
উপনির্বাচনের আগে বা পরে কোনো বড় রাজনৈতিক দল যোগাযোগ করেছে? এ প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, বড় কোনো দল আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। কয়েকটি ছোট দল যোগাযোগ করেছে। তবে এই মুহূর্তে আমি কোনো দলে যোগ দেব না।
ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দিন হিরো আলমের কাছে জানতে চান, আপনি কী ধরনের রাজনৈতিক দল গঠন করতে চান, তার লক্ষ্য কী হবে? নতুন দল গঠন করে আপনি কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান?
জবাবে হিরো আলম বলেন, দল গঠন করলে পরিবর্তন আনব। রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাব বদলাতে হবে। সমাজকে বদলাতে হবে। দলে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। বর্তমানে যে সব রাজনৈতিক দল আছে তারা একইভাবে চলছে। যারা গাড়ি চালায়, তারাও একইভাবে গাড়ি চালায়। যে ক্ষমতায় থাকে তার বাবা থাকে আর বাবা চলে গেলে ছেলে থাকে। কিন্তু তারা দলে আসন ছাড়ছেন না। দল ও দেশে কোনো পরিবর্তন পাওয়া যাচ্ছে না। দেশ বদলাতে হলে নবাগতদের তাদের অবস্থান ছাড়তে হবে। নতুনদের পরিবর্তন আনার সুযোগ দিতে হবে।
নির্বাচনের সময় গণসংযোগের বিষয়টি উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর জনগণ এত ক্ষুব্ধ, তারা নতুন চায়। পুরনো দলগুলোর বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ যে মানুষ বলছে, একটা কলাগাছও দাঁড়ালে বড় দলগুলোকে ছেড়ে দাও, আমি তাকে ভোট দেব। কারণ মানুষ বড় দলগুলোর প্রতি বিরক্ত। তার নতুনদের চায়।
আপনার কী গুণাবলী রয়েছে যা লোকেরা আপনাকে অন্যদের চেয়ে বেছে নেয়? খালেদ মুহিউদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, আমি সঠিক পথে চলি, মানুষের পাশে দাঁড়াই, সহযোগিতা করি। মানুষ এখন ক্যাডার চায় না, চায় এমন মানুষ যারা মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে।
উল্লেখ্য, বিনোদন জগতের আলোচিত সমালোচিত ব্যাক্তিত্ব হিরো আলম সম্প্রতি এমপি নির্বাচন করে তিনি আলোচনায় এসেছেন এবং তাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা।