বিনোদন জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা জায়েদ খান সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা সেভাবে না পেলেও শিল্পী সমিতিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার ফলে তিনি তার কর্মকান্ডের জন্য বেশ আলোচনায় এসেছিলেন। তবে এখনো তিনি অভিনয়ে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
শান্তিনগরে একটা মেয়ে আছে। নাম বলবো না। সে আমাকে একটি ছবি দিয়ে অতর্কিত করে এবং একটি বালিশের কভার তৈরি করে এবং প্রতিদিন তার উপর শুত। আমি পছন্দ করি
আমি একটা মেয়েকে বললাম তুমি আমার জন্য কি করতে পারবে? তিনি তার হাত কেটে টিস্যুতে জায়েদ খান লিখে ইনবক্সে পাঠান। ‘
জায়েদ খানকে নায়ক হিসেবে নিয়ে নারী ভক্তদের আগ্রহের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান এমন তথ্য দেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মুখোমুখি হয়েছেন এই অভিনেতা। সেখানে তিনি এই রহস্য ফাঁস করেন।
এমন অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে জায়েদ খান বলেন, একটি মেয়ে আমাকে ফোন করে বলল, আমার সঙ্গে কথা না বললে আমি পাবনা চলে যাব। সে আমার সাথে প্রেম করতে চায় – তাও নয়। শুধু কথা. মেয়ের বাড়ি ওপারে। আমি ভুল করেছি, তিনি সত্যিই পাবনার হেমায়েতপুরে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন। আমাকে বললেন, তুমি বললে ভর্তি হব। আমি বললাম, বাড়ি ফিরে যাও। পরে তার মায়ের সঙ্গেও কথা হয়। ‘
এ রকম আরও অনেক ঘটনা আছে বলে জানান এই অভিনেতা।
ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে ভিউ বাড়ানোর জন্য জায়েদ খান বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করেন, এক প্রশ্নের জবাবে অভিনেতা বলেন, তিনি দুনিয়াতে যাই করেন না কেন, তিনি সমালোচিত হবেন। কবরী অপার লাশ দাফন করতে গিয়ে অনেককে ডেকেছি। ওরা আমাকে বলল তুমি করো ভাই, আমাদের বৌ বাচ্চা আছে, তোমার বাচ্চা নেই। আমার কোনো ইউটিউব চ্যানেল নেই, আমি কোনো পেজ চালাই না। তারপরও যদি বলেন, আমি ভিউ চাই, তাহলে আমার কিছু বলার নেই।
জায়েদ খানের এত শত্রু কেন? এ প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, যারা ভালো কাজ করে তাদের শত্রুর অভাব নেই। শত্রুতা সৃষ্টির জন্য লড়াই করার দরকার নেই। কিছু ভালো কাজ কর, শত্রু হয়ে যাবে। কার আচরণ কুটিল! আমি ভালো কাজ দেখতে পছন্দ করি না। কেন এত অল্প সময়ে ভালো কাজ করেছি, কেন শিল্পীদের মধ্যমণি হয়েছি। আমার মতো এত বড় শিল্পী কেন? এটাই সমস্যা। কেন আমার নাম পরিচিত, কেন লোকে আমাকে চিনবে, কেন আমার দেহরক্ষী আছে, কেন আমার একটি সুন্দর গাড়ি আছে? এটা শুধু ঈর্ষা. ‘
যখন আপনি বিয়ে হচ্ছে? সম্প্রতি কালের কণ্ঠের এক প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, আমি একটু আগেই বলেছিলাম, এত মেয়ে আমাকে দেখতে আসে, এত মেয়ের ক্রাশ আছে, বিয়ে হলে তারা কি আমাকে দেখতে আসত? এই ক্রাশ স্থায়ী যাক না. হাতে একটা জিনিস আছে, ছেড়ে দিলেই শেষ। এটা আমার হাতে নেই, কয়দিন দাম বাড়াবো তারপর বিয়ে করবো। বিয়ে করলে দাম পড়বে। ‘
এ প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবও আপনাকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন। বাবার কথা না শুনে ইলিয়াস কাঞ্চনের উপদেশ শুনব বলে কি মনে করেন? বিয়ের ব্যাপারে মানসিক প্রস্তুতি হলেই বিয়ে করব। যেহেতু এখন আমার বাবা-মা নেই। আমার দুই বড় ভাই-বোন আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলছি, আমার মানসিক সময় বা ম্যাচিউরিটি এসেছে মনে হলেই বিয়ে করব। ‘
উল্লেখ্য, ক্যারিয়ারে বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন জায়েদ খান তবে তার সিনেমাগুলো অতটা বেশি জনপ্রিয়তা তিনি পাননি অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে তিনি বেশ আলোচিত সমালোচিত। একের পর এক আলোচনা উঠে তাকে নিয়ে বিভিন্ন করনে।