রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধের কারনে সারা বিশ্বে বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল এবং যার প্রভাব এর করেন বাংলাদেশে তেলের দাম বাড়ানোর হয়েছিল এবং হঠাৎ করে তেলের দাম বাড়ানোর কারনে বিপাকে পড়েছিল সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবার এই বিষয় নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আনু মুহাম্মদ, নিচে তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল-
আপনি ঠিক ধরেছেন দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বেশ খারাপ, সামনে দেশের মানুষকে ভেইন্না বা রেড়ীর তেলের যুগে ফেরত যেতে হতে পারে। আপনি এরজন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অবরোধ আর তেলের দামবৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন। এটা ভুল। আমরা এতোবছর ধরে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন করে শতভাগ দেশের কাজে লাগাতে বলেছি, বলেছি নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের অবকাঠামো বিস্তৃত করতে। এগুলো যথাসময়ে করলে বিশ্ব বাজারে যাই ঘটুক তাতে আমাদের কিছুই যেতো আসতো না।
আমরা কম দামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতাম। সেগুলো না করে, উল্টো আমাদের পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে, সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভয় দেখিয়ে, আপনি এলএনজি আর এলপিজি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা দিয়েছেন, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করে সুন্দরবনসহ পুরো উপকূল ছারখার করার ব্যবস্থা করেছেন, জনসম্মতি না নিয়ে ভয়াবহ বিপজ্জনক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছেন। বলেছেন বিদেশিদের কাছে মাথা নত না করে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছেন, তাহলে কার কাছে মাথা নত করে এগুলো করলেন? দেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনার ভার দেশের বিশেষজ্ঞদের না দিয়ে পুরোপুরি দিয়ে রেখেছেন বিদেশিদের হাতে।
বাপেক্সকে কাজ করার সুযোগ না দিয়ে বেশি দামে বিদেশি কোম্পানিকে কাজ দিয়েছেন। ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানির হাতে দেশ ভাগ করে দিয়ে সেসব দেশের সরকারকে সন্তুষ্ট রাখতে চেয়েছেন। দেশের মানুষের কোনো কথা, যুক্তি শোনেন নাই। দেশ ও মানুষের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ গুরুত্ব না দিয়ে বিদেশিদের কাছে, সেইসাথে দেশের কিছু লুটেরা ব্যবসায়ীদের কাছে, এভাবে মাথা নত করার কারণেই আজ দেশের এই অনিশ্চিত অবস্থা। বারবার গ্যাস, বিদ্যুৎ আর তেলের দাম বাড়াচ্ছেন, তারপরও বিদ্যুতের এই হাল। এসবের দায় তো সরকারের একচ্ছত্র প্রধান হিসেবে আপনাকেই নিতে হবে।