কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি তার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে সর্বদা আলোচনায় থাকেন। সম্প্রতি ঢাকায় এসেছেন তিনি। চলমান ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে তার পরিচালনা ও প্রযোজনায় প্রথম চলচ্চিত্র ‘এন্ড রুফ’।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সিনেমাটি দেখেন এই তারকা। তারপর জানালেন তার অনুভূতির কথা। শ্রীলেখা বলেন, ‘এটা দারুণ অভিজ্ঞতা। এখানে আমি আমার নিজের করা ছবি নিয়ে এসেছি। আমার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রিমিয়ার। তাও আমার প্রিয় শহর ঢাকায়। ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব।
শ্রীলেখার নানার বাড়ি মাদারীপুরের ঘাটমাঝি গ্রামে। দেশভাগের সময় তারা ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়। ২০১৭ সালের আগে, শ্রীলেখা তার বাবা সন্তোষ মিত্রের সাথে পৈতৃক বাড়ির সন্ধানে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
কান্না লুকিয়ে শিল্পী বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার কাছে আবেগের জায়গা। বাবার সাথে আগেও ঘুরেছি। বাবা বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কথা বলেন। দেশভাগের সময় আমরা যখন কলকাতায় গিয়েছিলাম, তখন আমরা সম্পূর্ণ নিঃস্ব। কিন্তু আমরা জমিদার পরিবারের মানুষ। সেখান থেকে সংগ্রাম করে আমাদের প্রজন্ম বা আমি এই পর্যায়ে এসেছি।
শ্রীলেখার কথায় ফিরেছে বাংলাদেশ। খাবার ও বাংলা ভাষার প্রশংসা করেন তিনি। তিনি মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশের খাবারের কাছেও যাবো না। আমাকে দেখে তো বুঝতেই পারছেন. এখানকার খাবার এত সুস্বাদু, আমি নিজেকে সামলাতে পারি না। আর একটা কথা না বললেনই নয়, বাংলাটা এদেশেই টিকে আছে। আমি এখানে মানুষের সাথে কথা বলতে পছন্দ করি। কলকাতায় এখন শুধুই বাংলিশ চলে
অন্যদিকে শ্রীলেখাও বাংলাদেশ নিয়ে প্রশংসার ফাঁকে নিজের প্রচ্ছন্ন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে চমকপ্রদ খবর প্রকাশিত হয়।
সাংবাদিকদের এ ধরনের খবর প্রকাশ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, বাংলাদেশের অনেক গণমাধ্যম আমাকে নিয়ে ভুয়া খবর প্রকাশ করে। সাংবাদিকদের অনুরোধ, এ ধরনের চটকদার সংবাদ প্রকাশ করবেন না। আমার ১৮ বছরের একটি শিশু আছে।’
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র তার ক্যারিয়ারে অসংখ সিনেমা করেছেন এবং তার অনবদ্দ অভিনয় দিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন এবং পেয়েছেন মানুষের ভালবাসা। তিনি জিবাংলার কমেডি শোতে বিচারকের আসনে বসেও ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।