বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে নেতাকর্মীদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অনেকের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও দেখা যাচ্ছে গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারনে নেতা কর্মীদের সমাবেশ আসতে নানা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। সেই সাথে রাজধানীতে প্রবেশেও রয়েছে নানা কড়াকড়ি।
সিলেট মৌলভীবাজারের শ্যামলী সূত্রধর। ঢাকায় আসার জন্য ঢাকায় আশ্রয় নেন। গাড়িতে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গন্তব্য ও যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে চিকিৎসার অজুহাত দেন। ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন।তারপর রাতে থাকতে সমস্যা হয়। হোটেলে উঠতে আমাকে নানা কৌশল করতে হয়েছে। সে জাল প্রেসক্রিপশন সংগ্রহ করে হোটেল কর্তৃপক্ষকে দেখায়।
শ্যামলী সূত্রধর অভিযোগ করেন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে তাকে এমন ঝুঁকি নিতে হয়েছে। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বাংলাভিশনের সঙ্গে কথা বলেন শ্যামলী।
শ্যামলী বলেন, ‘এই সরকার আমাদের হোটেলে থাকতে দেয় না, কোথাও থাকতে দেয় না। আমরা জানি আমাদের কষ্ট করে আসতে হবে, তাই আমরা আগেই চলে গেছি।’
তিনি বলেন, সরকার ভেবেছিল ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের ঘটনার কারণে আমরা ঘরে বসে থাকব, তাদের হুমকিতে আমরা কোণঠাসা হয়ে পড়ব; এইটা না. আমরা সমাবেশ সফল করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেগম জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।’
উল্লেখ্য,আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়। নেতা-কর্মীদের স্লোগানে মুখরিত সমাবেশ মাঠ। তবে এই সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নেতাকর্মীরা এমন অভিযোগ রয়েছে।