সারা দেশে চলছে বিএনপির আন্দোলন এবং এই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন অসংখ নেতাকর্মীরা তবে আশংকার কথা হল বিএনপির অনেক নেতা অভিযোগ করছেন তারা নানা হামলা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এবং অতীতেও এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন এই বিষয়ে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন রবিউল ইসলাম নয়ন। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
আমাকে সেদিন অন্যায় ভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের ভিতর থেকে তুলে নিয়ে গুম করে রাখা হয়েছিল। অমানবিক নির্যাতন করে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আরে ভাই রাখে আল্লাহ মারে কে?
তিনদিন পরে যখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব “রুহুল কবির রিজভী” ভাই সাংবাদিক সম্মেলন করেন এবং পাঁচ দিনের মাথায় যখন স্বনামধন্য আইনজীবী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান “খন্দকার মাহবুব হোসেন” সাহেব হাইকোর্টে রিট করেন, তখন ছয় দিনের মাথায় আমাকে অসুস্থ অবস্থায় হাইকোর্টের নির্দেশে সিএমএম কোর্টে তোলা হয়। এই ছয়দিনের ভিতর যা ঘটেছিল তা যদি বর্ণনা করি, মানুষের চোখের পানি ধরে রাখতে পারবে না।
আমি তিন চার মাস আগে যখন ঢাকার রাজপথে এই সময় এর আন্দোলনে প্রথম লাঠি মিছিল শুরু করলাম। মুগুর মিছিল, ঝাড়ু মিছিল, জুতা মিছিল, শুরু করলাম তখন আমাকে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী সাবধান করেছে। আমি বুঝেছি যারা আমাকে সাবধান করছে তারা আমাকে খুবই ভালোবাসেন। আমি সেদিন লাঠি মিছিল, মুগুর মিছিল, বের করেছিলাম দেখেই হয়তোবা আজকে আমার জাতীয়তাবাদী ভাইয়েরা হয়তো আরও উৎসাহিত হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ আবারও সেই একাত্তর সালের মত লাঠি হাতে তুলে নিয়েছেন, যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আমি দলের সামান্য একজন কর্মী, কিছু লোক লাঠি মিছিল, মুগুর মিছিল, ঝাড়ু মিছিলের, বিরোধিতা করেছেন। আজকে সারা বাংলাদেশ লাঠি হাতে তুলে নিয়েছে আমিও সেই যোদ্ধাদের একজন সামান্য যোদ্ধা মাত্র।
যাই হোক, জানতে পারলাম কয়েকদিন যাবৎ আওয়ামী লীগের, যুবলীগের, কিছু গুন্ডাপান্ডা আমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন এবং বিশেষ কিছু পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে আমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আরে ভাই আপনারা আওয়ামী লীগ করেন, যুবলীগ করেন এত যদি সাহস থাকে তাহলে পুলিশ বাদে আমাদের সামনে আসবেন। হাত-পা আর ঘরে ফিরে নিয়ে যাওয়া লাগবে না, আর যারা আমার বাবা মাকে হুমকি দিচ্ছেন তারা হিসাবটা কষে রাখবেন, আমার সামনে কখনো পড়বেন না দয়া করে। আর পুলিশ ভাইদের প্রতি অনুরোধ নিজেদের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন। যে শপথ নিয়ে চাকরিতে যোগদান করেছেন, সেই শপথের মর্যাদা রাখুন। আওয়ামী লীগের, যুবলীগের, দালালি ছাড়ুন। তাতে আপনাদেরও মঙ্গল এবং বাংলাদেশের জনগণের মঙ্গল।