চার বছর পর পর আসে বিশ্বকাপ ফুটবল এবং এই ফুটবলের আনন্দ উন্মাদনায় ভেসে যায় গোটা বিশ্ব সেখানে ধর্ম বর্ণ কিছু সীমাবদ্ধ থাকে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আরিফুজ্জামান তুহিন। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
কেউ কাউকে চেনে না ব্যক্তিগত পরিসরে। তারা জিতলে এদের কারোর পকেটে ইসলামি ব্যাংকের ৩০ হাজার কোটি টাকার ৩ পয়সাও ঢুকবে না। এরা সারা বছর শাসক ছাত্র সংগঠনের মাস্তানিতে হলে মাথা নত করে ঢোকে, টিভি রুমে পছন্দের চ্যানেল দেখার সুযোগ নেই। শুধু সালাম আর সালাম।
এদের কেউ হিন্দু কেউ মুসলমান কেউ আদিবাসী। এরা হিন্দু মুসলমানে ভাগ হয়, বাঙালী আদিবাসীতে ভাগ হয়। এরা সিয়া সুন্নিতে ভাগ হয়। এরা হানাবিল মালিকিতে ভাগ হয়। অতপর এরা এর বিরুদ্ধে ওর পিন্ডি চটকায়। সারা বছর নানান ফিকিরে নারীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো উস্তাতদেরও এরা সাপোর্ট দেয়। এদের ভাগের সীমা পরিসীমা নেই। শুধু এরা নাবালক নাদান থাকে নিজেরা গরিব এইটা বুঝতে।
কিন্তু চার বছর পর পর আজব একটা বল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দুনিয়ার কিছু দল। সেই দলে বাংলাদেশ নেই। কিন্তু এই ন্যুয়ে পড়া মানুষগুলো ২০/২৫ দিন ভয়াবহ জিন্দা থাকে খেলা নিয়ে। এরা আর্জেন্টিনা ব্রাজিলে ভাগ হয়, তারপর রাত জেগে হল্লা করে। এই হল্লা অন্তত বাকি তিন বছর ৩৪০ দিনের হল্লার চেয়ে ভাল। এখানে সবাই এক কাতারে দাড়ায়। সেই কাতারে হিন্দু মুসলমান নেই। হানাবিল মালিকি নেই। এই কারণে ফুটবল সুন্দর। অন্তত অসুন্দরের দাবড়ানি থেকে এক মাসের একটা ডিস্টোপিয়া সমাজ পাওয়া যায়।
হল্লা করে খেলা দেখার বিরোধীতাকারিরা আশা করবো মন দিয়ে তাদের গবেষণা করবেন। দারুন সেসব গবেষণায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুন তুর্কীরাও গবেষক হবেন। অন্তত বিসিএসের জন্য সুবে সাদিক থেকে লাইন দেবে না লাইব্রেরির সামনে।