বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের নানা বক্তব্য ব্যাপক আলোচনা তৈরী করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার দেখা গেল কুমিল্লার লালমাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ওরফে শাহীনের বাবার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, শাহীনের বাবা লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হামিদ তার ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া অন্য দুই প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দেন।
নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ভূষি এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভায় আবদুল হামিদ প্রার্থীদের এ হুমকি দেন। তিনি বলেন, হামিদ কতটা খারাপ তা আমি বুঝাবো । ২৭ তারিখ পর্যন্ত দুজনকেই সময় দিয়েছি, ছেলের সঙ্গে নির্বাচন করতে নয়। হয় এটা থামান, নইলে ২৮ তারিখে রাস্তায় দেখা হবে। তাহলে বুঝবে আমি কতটা খারাপ। আমার বয়স ৮০ বছর। আর কত বছর বাকি, আমি আর বাঁচতে পারব না।’
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল মমিন মজুমদার এবং হারুন অর রশিদ মজুমদারের মো.
এদিকে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বর্তমানে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। তাদের মোবাইল ফোন সেটও বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আবদুল হামিদের মোবাইল ফোনে রোববার এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে তার ছেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ কামরুল হাসান শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি সাংগঠনিক বিষয়ে কথা বলতে পারেন। আমাদের দলের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর আত্মগোপন করছেন। দলের নেতা হিসেবে আব্বা হয়তো নির্বাচনের মাঠে না দেখেই ওই বক্তব্য দিয়েছেন।
এদিক আওয়ামীল নেতার সেই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে আলোচনা ওঠে এবং এই প্রসঙ্গে কুমিল্লার রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম বলেন, “বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। কেউ অভিযোগ করেনি। তবে আমি আপনাদের কাছ থেকে যতদূর জানি, এ ধরনের বক্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না।আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।