সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হেলেনা। তিনিমূলত গার্মেন্টস থেকে পণ্য কিনে এনে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন তবে এখন তা বন্ধ করতে হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা সেকারনে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন কিনারা করতে পারছেন না তিনি । গত তিন চারদিন ধরে পেশাদার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা বা জিডি করতে পারেননি তিনি। উল্টো তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে থানা থেকে তারিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর ভাষানটেক থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
হেলেনা আক্তার জানান, তিনি তার দুই সন্তান ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে মিরপুর ১০নম্বর এলাকার বি ব্লকের ১৭ নম্বর রোডের ১নম্বর বাসায় বসবাস করছেন। পাশাপাশি ভাষানটেক থানা এলাকার এজে ফ্যাশন নামে একটি গার্মেন্টস থেকে ওয়েস্টেজ মালামাল ক্রয় করে এবং তা বিক্রির মাধ্যমে জীবীকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু গত মাসখানেক ধরে জেলবন্দি সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসের সহযোগী চন্দ্রাবাবু ওরফে দাঁতভাঙ্গা বাবু, ওরফে ভাগিনা বাবু ওরফে রাজিব চৌধুরী, শহিদ, হাজী বাপ্পী, লিখন ও ইমনসহ কয়েকজন তাকে মোবাইল ফোনে গার্মেন্টসের মালামাল নামাতে নিষেধ করেন।
তাদের কথা না শুনলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসীরা দিনে দুপুরে তার বাসার সামনে এসে আগ্নেয়াস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে তাকে শাসিয়ে গেছেন। সেদিনের ভিডিও ফুটেজও হেলেনার কাছে রয়েছে। হুমকির অডিও রেকর্ড এবং অস্ত্রের মহড়ার ভিডিও ফুটেজ দেখাতে চাইলেও ওসি ভাষানটেক তা আমলে নেয়নি। রাজীব চৌধুরীর বিরুদ্ধে এলাকায় অন্যের বাড়ি দখল ও চাঁদাবাজিসহ পাহাড় সমান অভিযোগ রয়েছে।
হেলেনা আরো জানান, গার্মেন্টস মালিকের সাথে তার এক বছরের জন্য এগ্রিমেন্ট রয়েছে। তার সময়সীমা আরো চার মাস বাকি। এই মুহূর্তে তিনি এই ব্যবসা থেকে সরে আসলে তাকে রাস্তায় বসতে হবে। না খেয়ে থাকতে হবে। কি করবেন তিনি? মার্কেটে দেনা পাওনা আছে। নিজের তেমন কোন পুঁজি নেই, অন্যের কাছ থেকে ধার দেনা করে মোটামুটিভাবে ব্যবসাটা টিকিয়ে রেখেছেন। আর এখান থেকে যা আয় হয়, তা দিয়ে দুই ছেলের লেখাপড়া, বৃদ্ধ মায়ের চিকিৎসা, ঘর ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া সব এখান থেকেই তাকে বহন করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গার্মেন্টস পণ্য বিক্রি করে সংসার চালানো সেই হেলেনা র সাথে এক বছরের জন্য এগ্রিমেন্ট রয়েছে গার্মেন্টস মালিকের এখন তিনি পণ্য বিক্রি করতে না পারলে তার পরিবার অনাহারে থাকবে ,জানা গেছে তার হাতে পুঁজি না থাকলেও তিনি ধার দেনা করে সংসার চালান এই অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন