দেশে সম্প্রতি নতুন কারিকুলামের দুটি বই নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছিল এবং অনেকেই এই ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যার কারনে দেখা যাচ্ছে এবার ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুই বই প্রত্যাহার করেছে সরকার। নতুন পাঠ্যক্রমের চলতি শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের দুটি ‘তদন্ত পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক পাঠদান থেকে সরে এসেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সমালোচনা
ফরহাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয় এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো.
জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোঃ মশিউজ্জামান বলেন, “পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সমালোচনার কোনো ভিত্তি নেই, এগুলো নিছক গুজব। তারপরও ঘোলা পানিতে যাতে কেউ মাছ ধরতে না পারে সেজন্য দুটি বই প্রত্যাহার করা হয়েছে। .
সমালোচনার কারণে বই দুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক কিছু বলা যায়।
আগামী বছর এ দুটি বই সংযোজন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বই দুটি সংশোধন করব। এরপর ২০২৪ সালের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বইগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এনসিটিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য তৈরি করা ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের ব্যবহারিক পাঠ এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ্যপুস্তকের কিছু অধ্যায় সংশোধন করা হবে। উল্লিখিত পাঠ্যপুস্তকের অন্যান্য অধ্যায়ের পাঠদান অব্যাহত থাকবে। শিগগিরই সংশোধনীগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জানানো হবে।’
এদিকে শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুরের মেঘনা নদীর পশ্চিমে হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালা কাশেম উলমুল মাদ্রাসা মাঠে এক উঠান বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন, বইয়ে না থাকলে ভালো হতো। ” কিছু ওভাররাইট করা হয়. আমরা বলছি যে আগামী বছর আমরা ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য একটি করে দুটি নতুন বই তৈরি করব। এই দুই ক্লাসের কথা বলা হচ্ছে, পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এই বইগুলোতে ইসলাম বিরোধী কিছু নেই। তারপরও আমরা মানুষের কথা শুনি, যদি কেউ কষ্ট পায়- আমরা সেটাকেও মূল্যায়ন করি এবং সম্মান করি।’
এ বছর থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন পাঠ্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে শুরু হবে। তারপর ২০২৫ সালে এটি পঞ্চম ও দশম শ্রেণীতে চালু হবে। ২০২৬ এবং ২০২৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের ১১ এবং ১২ শ্রেণীতে নতুন পাঠ্যক্রম চালু করা হবে। এই কারিকুলামে প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হবে না। সম্পূর্ণ মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়ে অবিচ্ছিন্ন শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণিতে প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় বসবে। এরপর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুটি পরীক্ষার ফলাফল যোগ করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে যখন পাঠ্যবই পৌঁছেছে, ঠিক তখনই পাঠ্যবইতে নানা ভুল নিয়ে নতুন বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এনিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। অভিভাবকরা কোনোভাবেই এই বিষয়টি মানতে পারছে না। জানা গেছে সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের কিছু প্রসঙ্গ সরাসরি ন্যাশনাল জিওগ্রাফি থেকে কপি করা হয়েছে।