সাফ নারী ফুটবলে অনন্য এক সম্মান বয়ে আনলেন বাংলাদেশের নারীরা। চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ দল। দেশে বিদেশে এখন শুধু তাদের নিয়েই আলোচনা প্রশংসা চলছে সেই সাথে এই দলের গোলরক্ষক রুপনা এর ভূমিকা নিয়ে কথা উঠছে পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের গোল পোস্টের সামনে চীনের প্রাচীর হয়ে ছিলেন রুপনা চাকমা। মাত্র একবার পরাস্ত করা গেছে তাঁকে। সেই রুপনা চাকমার হাতেই উঠেছে টুর্নামেন্টসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার।
কিন্তু এই রুপনার নিজের বাড়িটা যেন সামান্য বৃষ্টি থেকেও রক্ষা করতে পারে না তাদের। সেই রুপনার ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে রুপনা চাকমার ঘর নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি এরই মধ্যে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দিয়েছি। আজ বিকালে এলজিইডির প্রকৌশলী নিয়ে ঘর নির্মাণের বিষয়ে সরেজমিন দেখে আসবেন। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এটি করে দিতে পারবো। ’
রুপনা চাকমার বাড়ি রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার দুর্গম ভুঁইয়া আদাম গ্রামে। সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের আরেক গর্বিত সদস্য ঋতুপর্ণা চাকমার বাড়ি কাউখালীর ঘাগড়া ইউনিয়নের মগাছড়ি গ্রামে।
উল্লেখ্য, গোটা বাংলাদেশের মানুষের কাছে এবং আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু একটা সেটি হচ্ছে এদেশের নারীদের ঐতিহাসিক জয়। সাফ নারী ফুটবলে নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশ বিদেশে ব্যাপক সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা এবং সেই সাথে দেখা যাচ্ছে তাদের ই সাফল্যের জন্য অনেকেই তাদের নিয়ে নানা প্রশংসা করছেন