সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধমে রাজধানীর সুলতান ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানিতে কুকুর বিড়ালের মাংস পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চলছে তোলপাড়। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা ফাতেমা আবেদীন নাজলা। নিচে তার সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল-
সুলতান ডাইনের কাচ্চির ব্যাখ্যাটা আপনাগের দেই। আপনারা কি জানেন- প্রতিবার হজে কমপক্ষে ৮/১০ লাখ দুম্বা কুরবানি হয়। এগুলো আইডিবি অর্থাৎ ইসলামিক ডেভেলোপ ব্যাংকের পরিচালনায় ডিস্ট্রিবিউশন হয়। আইডিবি প্রতি বছর ৮-১০ লাখ দুম্বা প্রজাতির ছাগল বিশ্বের গরীব দেশগুলোতে বিলি বণ্টন করে দেয়।
ছোটবেলায় এলাকার চেয়ারম্যান, বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা এই দুম্বা পাইতেন, আমরাও মেলা কোটায় ভাগেযোগে খাইছি। এখন আর আসে না কেন এই বিষয়ে জিগান।
আসে, সেগুলো বাজারে বিক্রি হয়ে যায়। এইসব ফ্রোজেন দুম্বা বিক্রির বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে উঠছে। যে টাকায় বিক্রি সেই টাকায় লাভ। কারণ পুরোটাই ফ্রি আসে। অনেকটা খেজুরের মতো। ঢাকার রাস্তায় দেখবে ১২০ টাকা করে খেজুর বিক্রি হয়। অথচ সুপারফুড বলে খেজুর অনেক দামী খাবার। তাই এরকম কম দামে কেমনে পাওয়া যায়। গরীব মুসলিম দেশগুলোতে ওআইসি থেকে প্রচুর খেজুর দেওয়া হয় রমজান উপলক্ষে। সেটাই আরামে বাজারে বিক্রি হয়।
এবার আসেন ফ্রোজেন মাংস। বাংলাদেশ এখন ইমপোর্ট বন্ধ রাখছে। কিন্তু প্রচুর ফ্রোজেন মাংস অস্ট্রেলিয়া, নর্থ আমেরিকাসহ অনেক এলাকা থেকে আসতো। এখনো মনে হয় ভারত হয়ে চোরাই পথে আসে। এইগুলো ৪০০ টাকা কেজি। গা ভর্তি মাংস
আমার এক পরিচিত বুড়া মিয়া আমার কাছে ৪০০ টাকায় বিফ বিক্রি করেছিলেন। তখন আমি বাজার থেকে কিনি ৬৫০ টাকায়। পরে প্যাকেজিং দেখেই বুঝলাম ফ্রোজেন। ৮ কেজি মাংসে প্রায় ৩ কেজি গুর্দা ছিলো। গুর্দা কাবাব বানাইয়াও খাইতে পারিনি। ফেলে দিতে হইছে।
১১০০ টাকা দিয়া যখন এক কেজি লাইভ খাসী কিনে আনি তখন ৪৫০ টাকার কাচ্চিতে ২ টুকরার ওপরে দিতে জানের ওপরে দিয়া যায়। এর লগে তেল ঘি মসলা কিংবা চাল (মোস্ট এক্সপেনসিভ ফুড) আলু ডিম সালাদ দেওনের পরেও জিগায়, আর কিছু নাই। এত দাম কেন। এরাই সুলতান ডাইনে ৫৫০ টাকায় ৫ পিস মাংস কিনে খায়।
কুত্তা বিলাই খাওয়ানো খুব টাফ জব ভাই। এই দেশে কুত্তা বিলাই চাষ হয় না। শিয়াল খাওয়ানোর ঘটনাটা সত্যি ছিলো ভাই
আমাদের N’s Kitchen এর কাচ্চি। এখানে সন্দেহের কোনো অবকাশ নাই। আমার লোক গিয়া দাঁড়ায়া থেকে খাসী কিনে আনে ব্রো