সম্প্রতি কোটা আন্দোলনের নেত্রী মরিয়ম মান্নানের মায়ের নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে বেশ আলোচনা উঠেছিল মূলত তার মা নিখোঁজের একমাস পর অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি লাশ উদ্ধার করা হয় এবং এই ঘটনা বেশ শোকাহত হয়েছিল নেটিজেনরা তবে ঘটনায় নতুন মোড় আসে যখন মরিয়মের মেক জীবিত উদ্ধার করা হয়।
খুলনার গৃহবধূ রহিমা বেগম কেন, কার সহায়তায় স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গেলেন তা জানতে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রহিমা প্রাথমিকভাবে তদন্তকারী সংস্থাকে যে তথ্য দিয়েছিল তা মেয়েদের সঙ্গে দেখা করার পর বদলে যায়। রহস্য সমাধানে মাঠে নেমেছে সংগঠনটি।
রহিমা বেগমের নিখোঁজের মূল হোতা হিসেবে তার বর্তমান স্বামী বেল্লাল ঘটকের নাম রয়েছে। পিবিআই দাবি করেছে যে বেল্লাল তার অবস্থান, তার পরবর্তী মিশন কী, তার স্ত্রীকে লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করা সহ তিনি কার কাছে আশ্রয় নেবেন সে সম্পর্কে বেশিরভাগ তথ্যই জানতেন।
পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, তদন্তে তারা জানতে পারে রহিমা বেগম গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে বান্দরবান যান। প্রথমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আরমিপাড়া এলাকায় এক নারীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে অন্য বাড়িতে আশ্রয় নেন। একটি প্রতিষ্ঠানে ভাত রান্নার চাকরিও ছিল। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় জটিলতায় পড়েন তিনি। পরে রহিমা বান্দরবান থেকে ফরিদপুরে চলে আসেন।
পুলিশ সুপার জানান, রহিমা বেগমের বর্তমান স্বামী বেল্লাল ঘটক তাকে খুলনায় তার বাড়ি ছেড়ে যেতে সাহায্য করাসহ তার নিখোঁজের বেশিরভাগ ঘটনা জানতেন। এ কারণে পুলিশ এখন তাকে এই নিখোঁজের মূল পরিকল্পনাকারী বলছে।
রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার ও পরে জামিন পাওয়া দুই ভাই মহিউদ্দিন ও গোলাম কিবরিয়া জানান, খুলনা জেলা কারাগারে বেল্লাল ঘটকের সঙ্গে তাদের বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। পিবিআই তাকে রিমান্ডে নিতে পারে এমন খবরে বেল্লাল খুবই চিন্তিত।
তদন্তে আসামিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া না গেলে বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে রহিমা বেগম ও তার মেয়ে আদুরী বেগমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পিবিআই। .
উল্লেখ্য, খুলনার নিজ বাড়ি থেকে পানি আনার কথা বলে নিখোঁজ হন মরিয়ম মান্নানের মা এর পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্চিলো না এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল মরিয়ম মান্নান এবং সেই সাথে তার মাকে ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতাও কামনা করেছিলেন