বর্তমানে সকল জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে যার ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। গরুর মাংস কিছু বছর ধরে বলা যায় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। অত্যাধিক দাম হওয়ার কারনে মানুষ সপ্তাহে একদিন আগের মতো আর মাংস খাবার পরিস্থিতিতে নেই।
ফ্রিজ, টেলিভিশন, আসবাবপত্র কিস্তিতে কেনার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। তবে এবার গরুর মাংসও বিক্রি হচ্ছে কিস্তিতে। এমনই ঘটনা ঘটেছে যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কাজীপুর গ্রামে। আর এ সুবিধা ভোগ করছেন গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে কাজিপুর গ্রামে চার বন্ধুকে কিস্তিতে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়।
গরুর মাংস বিক্রেতারা হলেন- উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের লালন হাসান, জাহিদ হাসান, আবু সাঈদ ও নাহিদ হাসান। তারা বন্ধুদের সম্পর্কে।
এ বিষয়ে চার বন্ধু জানান, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে গরুর মাংসের বর্তমান দামে এক কেজি মাংসের টাকা রোজগার করা নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে কঠিন। এ অবস্থা দেখে তাদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থেকেই এই উদ্যোগ। কিন্তু কয়েক বছর আগে এক আড্ডায় কিস্তিতে মাংস বিক্রির পরিকল্পনা মাথায় আসে। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তারা আরও জানান, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি শুক্রবার সকালে গরু মাংস স্থানীয়দের কাছে বাজার দরে বিক্রি করা হয়। মাংস কেনার সময় কেউ পরিশোধ করতে না পারলে প্রতি মাসে দুই বা তিন কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জমির হোসেন বলেন, আগে বছরে একবার বা দুবার গরুর মাংস খেতে পারতাম। গরুর মাংস খেতে চাইলে এখনই কিস্তিতে কিনতে পারেন।
রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফ বলেন, চার বন্ধু মিলে যে কাজটি করেছেন তা খুবই ভালো উদ্যোগ। ভালো মানের সুস্থ গরুর মাংস ও বিক্রির জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, কিস্তিতে পণ্যের কেনাবেচা তো প্রায় শোনা যায় তবে এবার ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কাজীপুর গ্রামে। সেখানে কিস্তিতে মাংস বিক্রি করছে চার বন্ধু। এই সুবিধা ভোগ করছে গ্রামের অনেক মানুষ।