দেশে গেল বেশ কয়েকদিন ধরে অবরোধ আর ধর্মঘট ডেকেছিল চা শ্রমীকেরা। নিজেদের প্রতিদিনের মজুরী বাড়ারনো জন্য জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের জন্য তারা ডেকেছিল এই ধর্মঘট। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য তারা হস্তক্ষেপ চেয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেন চা শ্রমীকেরা। সে সময় প্রধানমন্ত্রীকে বেশ খুশি ও হাসিমুখেই তাদের সাথে কথা বলতে দেখা যায়।
গণভবনে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসার সময় আপনারা উপহার নিয়ে এসেছিলেন। আমার হাতে এখনও সেই উপহার আছে। কিন্তু ভুলে যাইনি। আমার কাছে এটি সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। চা শ্রমিকরা চার আনা আট আনা সংগ্রহ করে আমাকে এই উপহার দিয়েছেন। এত বড় সম্মান, এত বড় উপহার আমি কখনও পাইনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এভাবেই তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চা শ্রমিকদের সঙ্গে কার্যত মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রামের চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, চা শ্রমিকরা সব সময় নৌকায় ভোট দেন। তিনি বলেন, চা শ্রমিকরা আমাদের দেশের নাগরিক। কিন্তু এক সময় তাদের নাগরিকত্ব ছিল না। কোনো ঘরবাড়ি ছিল না। চা শ্রমিকরা যেহেতু সবসময় নৌকায় ভোট দেয় তাই আমরা আপনাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি।
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমীকদের মজুরী বাড়ানোর তাগিদে বৈঠকে বসেন চা বাগান মালিকদের সাথে। আর সেই বৈঠকেই তাদের ১২০ টাকা মজুরী থেকে বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করে দেয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।