পিলখানার বিডিয়ার বিদ্রোহ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা ২০০৯ সালের ফেবুরুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার পিলখানায়এই ঘটনা সংগঠিত হয় এবং সেখানে ৫৭ জন সেনা কর্মকতা সহ আরো অনেকে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিল।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীতে পিলখানা ট্রাজেডির শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠতে না পারলেও সেদিন (বিডিআর বিদ্রোহ) ঘুম থেকে উঠেছিলেন। পরে গাড়ি করে দুদিনের জন্য কোথায় যেন চলে যান।
চলতি বছরের মধ্যেই বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তা নিহতের মামলার চূড়ান্ত রায় পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ আওয়ামী লীগকে যারা পছন্দ করে না তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ। সরকারকে উৎখাত বা আঘাত করার লক্ষ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এর আগে সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে তাদের সামরিক সচিবরা শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের মাহবুবউল আলম হানিফ, সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবালসহ শহীদদের পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর ও বর্তমান বিজিবি সদর দফতরে নৃশংস ঘটনা ঘটে। এই দিনে কিছু বিপথগামী বিদ্রোহী বিডিআর সদস্য ৫৭ সেনা কর্মকর্তা এবং নারী ও শিশুসহ ১৭ জনকে না ফেরার দেশে পাঠায়।