বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে দুর্নীতির দায়ে তিনি খাটসেন সাজা। আর এই সাজার মেয়াদ রয়েছে এখনো বেশ কয়েক বছর।এ দিকে শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে তাকে বিশেষ বিবেচনায় সরকার থাকতে দিয়েছিল তার নিজ বাড়িতে।এ দিকে চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ। কারামুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, পরিবার আবেদন করলে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে সরকার।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে গত ২৪ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে দুই শর্তে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়।এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ে। খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে চলমান মুক্তির মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নানা শারীরিক জটিলতা রয়েছে। খালেদা জিয়া গত ২৮ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। হাসপাতাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৮ মিনিটে তিনি বাসায় ফেরেন।
দুই মামলায় খালেদা জিয়া কারাবন্দি। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত।
রায়ের পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। এরপর গত ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিল করে তার সাজা আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন একই আদালত। ৭ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানার টাকা অনাদায়ী থাকার কারনে তাকে আরো ৬ মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড প্রকাশ করেন আদালত। এরপর দেশে মহামারী ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের আবেদনের কারণে বিশেষ বিবেচনা করে সরকার তাকে বাড়িতে থাকার অনুমতি প্রদান করে। আর সেই থেকেই ৬ অন্তর অন্তর বাড়ছে তার বাড়িতে থাকার মেয়াদ।