সম্প্রতি পায়রা সমুদ্র বন্দর উদ্ভোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ,উদ্ভোধনী বক্তিতায় তিনি দেশের রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি জানিয়েছেন দেশের রিজার্ভ এর টাকা দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ব্যবহার করেছে তার সরকার এসময় রিজার্ভের টাকা চিবিয়ে খাইনি যোগ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক শামসুল আলম। নিচে তা তুলে ধরা হল-
রিজার্ভ কি আমি চাবায়া খাইছি নি?
ওটা আপনি ক্যামনে খাইছেন, দেখেন মানুষ কি বলে____
বিনেভোটের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘…বিদেশ থেকে টাকা পেতে অনেক ঝামেলা, তাই আমাদের রিজার্ভের টাকা দিয়ে ফান্ড করে তা দিয়ে উন্নয়ন করতে পারি। সেই ফান্ড থেকে আমরা এই পায়রা বন্দরের ড্রেজিং কাজটা শুরু করেছি।’ অথচ জাইকা তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল, হিমালয়ান মিহি পলিবাহিত বৃহৎ নদীগুলোর মোহনার মাত্র সাড়ে ১০ মিটার গভীর চ্যানেলে নিয়মিত ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মান টেকসই হবে না। অর্থাৎ পায়রা বন্দর অকার্যকর হবে। তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অর্থ দিয়ে এই বন্দর নির্মান করা ঠিক হবে না। অথচ সেই পায়রা বন্দরে রিজার্ভের অর্থ খর্চ করা হয়েছে।
একইভাবে রিজার্ভ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার অর্থ নিয়ে সরকার ‘রিফাইন্যান্সিং স্কিম’ গঠন করে সেখান থেকে তাদের পছন্দের ব্যবসায়ীদেরকে ঋণ দিয়েছে, যা থেকে বহু ব্যবসায়ী ঋণপত্র বা এলসির আমদানির ওভার ইনভয়েসিং করে অর্থ পাচার করেছে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ও পাচারের কারণে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের স্বল্পমেয়াদি রিজার্ভ ঋণ ফেরত আসছে না।
এই ৮ বিলিয়নের বাইরে ডুবন্ত শ্রীলংকাকে রিজার্ভ থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে, যখন বিশ্বের কোনো দেশ বা সংস্থা এই অর্থ দিতে সাহস করেনি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে, এই ২৫০ মিলিয়ন ডলার কু-ঋণে পরিণত হয়েছে। শ্রীলংকা ইতোমধ্যে জানিয়েছে, ঐ অর্থ তারা আর ফেরত দিতে পারবে না!
যে রিজার্ভের ডলার ভুল পরিকল্পনায়, ভুল ভাবে ঋণ দিয়ে আমরা হারিয়েছি, সেই ডলারের জন্যই আজকে তারা আইএমএফ, এডিবি, জাইকার দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
মোট কথা, রিজার্ভ চিবিয়ে নয়, একেবারে হামানদিস্তায় গুড়া করে গিলে ফেলেছেন!