ভারতে বিভিন্ন সময় দেখা যায় নানা বিচিত্র ঘটনা ঘটে এবং কিছু ক্ষেত্রে এই ঘটনাগুলো দেখে মানুষ হতবাক হয়ে যায়। মহাভারতে শকুনির বিরুদ্ধে পাশার খেলা চলাকালীন, যুধিষ্ঠির তার স্ত্রী দ্রৌপদীকে বাজি ধরে হেরে যান। মহাভারতের সেই অন্ধকার পর্বটি আধুনিক ভারতে ফিরে এসেছে। যাইহোক, খেলাটি পাশার পরিবর্তে লুডো, এবং এক্ষেত্রে স্বামী নয়, স্ত্রী নিজেই বাজি ধরেছেন এবং হেরেছেন।
আর তার স্বামীর অভিযোগ, বাড়িওয়ালার সঙ্গে লুডু খেলায় হেরে বাড়িওয়ালার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন ওই মহিলা। স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে না পেরে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলায়।
ঘটনার সূত্রপাত মাস ছয়েক আগে। রেনু ও তার স্বামী প্রতাপগড়ের দেবকালী এলাকায় ভাড়ায় থাকতেন। ছয় মাস আগে রেনুর স্বামী কাজের জন্য রাজস্থানের জয়পুরে চলে যান। রেণু প্রতাপগড়ের বাড়িতে একাই থাকে। লুডু খেলার নেশা ছিল তার। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তিনি বাড়িওয়ালার সাথে নিয়মিত বাজি ধরে লুডু খেলা শুরু করেন।
তার স্বামী জয়পুর থেকে পরিবারের খরচ চালাতে যে টাকা পাঠাতেন, রেনু লুডু খেলতেন। তার স্বামী দাবি করেন যে লুডু খেলতে খেলতে একদিন রেনু নিজেকে বাজি ধরেন। সেই খেলায়ও হেরে যাওয়ার পর দুই সন্তানের মা বাড়িওয়ালার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
পরে স্বামীকে ফোন করে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। এরপর স্বামী প্রতাপগড়ে ফিরে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও তিনি এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু রেনুর স্বামীর দাবি, তিনি বহুবার রেণুকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন বাড়িওয়ালাকে ছেড়ে দিতে। কিন্তু, রেনু তা করতে প্রস্তুত নয়। সে তার স্বামীর কোন কথাই শুনছে না। এ অবস্থায় স্ত্রীকে ফিরে পেতে পুলিশ প্রশাসনই তার একমাত্র ভরসা।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সুবোধ গৌতম নামে এক পুলিশ অফিসারকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “আমরা লোকটির (বাড়িওয়ালা) সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করেই আমরা তদন্ত শুরু করব।”