সম্প্রতি কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাওয়ার পথে ইয়েতি এয়ারলাইন্স এর একটি বিমান বিধস্ত হয়েছে এবং এই দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে অনেকে। জানা গিয়েছে বিমানটি ৭২ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত বিমান সংস্থাগুলিরও দুর্ঘটনার ইতিহাস রয়েছে। বিমানটির মালিক বিমান ও আতিথেয়তা উদ্যোক্তা অ্যাং শেরিং শেরপা। তিনিও তিন বছর আগে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান। ২০১৯ সালে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তিনি প্রাণ হারান।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রবীন্দ্র অধিকারী অন্যান্য মন্ত্রীদের সাথে তের্থুম জেলার নতুন বিমানবন্দর পরিদর্শন করছিলেন। তাদের সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন অ্যাং শেরিংও।
হেলিকপ্টারটি ছয় জনকে নিয়ে সকাল ৬টার দিকে উড্ডয়ন করে। গন্তব্য থেকে ফেরার পথে দুপুর দেড়টার দিকে একটি পাহাড়ে কপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় পাইলটসহ কপ্টারের সব যাত্রী মারা যান। কপ্টারটিতে পাঁচজনের বসার জায়গা ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। তাতে উঠেছিল ছয়জন। কেউ কেউ একে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দেখছেন। আং শেরিং ইয়েতি এবং তারা এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থারও মালিক ছিলেন।
উল্লেখ্য,গত রবিবার কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাওয়ার পথে ৭২ জন যাত্রী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ বিমান বিধ্বস্ত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিরা নিখোঁজ। জাহাজে থাকা সকলেই নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।