সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছিল বর্তমান সংকটের মধ্যে ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই খবরে। বিশেষ করে গ্রাহকরা আতংকিত হয়ে পড়েছিল এই খবর নিয়ে। এরই মধ্যে দেখা গেছে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এবং সেখানে ব্যাঙ্ক বন্ধ হচ্ছে না এমনটা বলা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক শামসুল আলম। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
বাংলাদেশ ব্যাংক রীতিমত অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দাবী করেছে-
আমানত তুলে নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক নানা খবর প্রচারিত হচ্ছে;
বলছে, বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থায় রয়েছে;
ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তারল্যের কোনও সংকট নেই;
এ পর্যন্ত কোনো ব্যাংক নাকি বন্ধ হয়নি।
কিন্তু জনগন জানে উল্টোটাঃ
১) আমানতের টাকা ফেরত দিতে পারছে না ব্যাংক। বড় বড় সরকারী ব্যাংকও রেডিমেড ১ লাখের বেশি টাকা দিতে পারছে না! কাজেই মানুষজন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেলছে। এটাই সত্যি।
২) বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা এবং রিজার্ভের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। প্রবাসী বাংলাদেশীদের শ্রমলব্ধ রিজার্ভ সরকার উড়াচ্ছে নানাভাবে। তারা ভালো রক্ষক নয়। তাই মানুষজন এখন আর আগের মত ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠায় না।
৩) তারল্য সংকট নাই একথা সত্য নয়। বহু ব্যাংকের হাতে টাকা নাই।
৪) বাংলাদেশে এ যাবৎ ব্যাংক বন্ধ হয়নি একথা সত্য নয়। মুস্তাফিজুর রহমানর একটি ব্যাংক, মখা আলমগীরের ব্যাংক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আর কিছুদিন আগেও বলা হয়েছিল ১০টি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে ২০টা ব্যাংকে ফরেন কারেন্সী নাই। এরপরও চাপাবাজি চলছে সমানে।