সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার এর ঘটনা নিয়ে। এদিকে জানা গেছে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) আনা হয়েছে। সেখানে সূর্যমুখী ভবনের দ্বিতীয় তলায় আলাদা দুটি কক্ষে তাদের রাখা হয়েছে। উভয়েরই ডায়াবেটিস আছে এবং রাতে শাকসবজি ও রুটি খেতে দেওয়া হয়।
এদিকে ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাড়ির দুই কর্মচারী তার বাসা থেকে নাস্তা ও প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে আসেন। নাস্তার বাক্স চেক করে ভিতরে পাঠানো হয়। নাস্তার মেনুতে ছিল রুটি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মির্জা ফখরুল বাসা থেকে পাঠানো সকালের নাস্তা ও ওষুধ নিয়ে গেছেন।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, ফখরুল ও আব্বাসকে ডিবি কার্যালয়ে আনার পর তাদের পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে গ্রেফতার, বাধা, সংঘর্ষসহ নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শেষ দিনে বৈঠকের জায়গা নিয়ে একমত হয়। বিএনপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে অনুমতি পাওয়ার পর বিকেল থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন দলটির নেতারা।
ঢাকায় অবস্থানরত দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা মাঠে ছুটেছেন। অনুষ্ঠানস্থল প্রায় রাতেই পূর্ণ হয়ে যায়। রাতে মঞ্চায়নসহ আনুষঙ্গিক কাজ চলে। সমাবেশ সফল করতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান দলের সিনিয়র নেতারা। নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকাল ১১টায় বিভাগের শেষ গণসভা শুরু হবে। আজকের গণসভা থেকে ১০ দফা ঘোষণা করা হবে। যার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলন শুরু হবে। নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের বাসা থেকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। নয়াপল্টনে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এর মামলায় পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।