নতুন বছরের শুরুতে গত ১৪ জানুয়ারি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দুই দিনের জন্য বাংলাদেশ সফর করেন।তার এই সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উঠেছিল নানা আলোচনা। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও ছিল নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক শামসুল আলম। নিচে সেটি তুলে ধরা হল-
১৬ তারিখে একখান পোস্ট দিয়েছিলাম, “শোলে এবং লু’য়ের হাই-পাওয়ার সফরে নানা প্রশ্নের এবং ফরমুলার জবাব নিয়ে আবদুল মোমেন ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন আগামী হপ্তায়? এগজিট চাইলে লাইনে আসতে হবে যে!”
আবদুল মোমেন আমেরিকায় গেছেন পুরা দলবল নিয়ে। আলটিমেটামের সময়ও শেষ- কোনো অগ্রগতি নাই- সরকার চরম বেকায়দায়। এখন আমেরিকা যাতে কোনো চরম ব্যবস্থা না নেয় সেজন্য যেখানে সেখানে ধর্ণা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। দুইজন রাষ্ট্রদূত ও ফরেন সেক্রেটারীকে সাথে করে তিনি আজ দেখা করতে গেছেন গ্রেগরি মিক্সের অফিসে, যিনি কংগ্রেসের ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান, যার বক্তব্যকে কিছুদিন আগে টুইস্ট করে ধরা খেয়ে লীগ সরকারকে মাফ চাইতে হয়েছিল!
প্রশ্ন হইল, যারা এত শক্তিশালী সরকার যে আমেরিকাকে বলে গণতন্ত্র নাই, তাদের রাষ্ট্রদূতকে “কাজের মেয়ে” বলে অপমানিত করে, তাদের মন্ত্রীকে বলে দুই আনার মন্ত্রী- তারা এখন একজন এমপির অফিসে দলবল নিয়ে বসে আছে কেনো?
বিলাই কি সহজে মান্দার গাছে ওঠে??