সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক বক্তব্যে বলেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন ম্যাট্ট্রিক পাশ। মূলত এই বক্তব্য নিয়েই যত আলোচনা সমালোচনা। এই প্রসঙ্গ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক রাশেদ খান। নিচে সেটি তুলে ধরা হল-
মিসেস ওয়াজেদ আজ বললেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন মেট্রিক পাশ!
একজন মেট্রিক পাশ করা ব্যক্তি কি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর হতে পারেন।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মেজর যারা আছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কি স্রেফ মেট্রিক পাশ?
অবিভক্ত ভারতের সেরা স্কুলের তালিকা করা হলে লিস্টে সবার আগে আসবে “হেয়ার” স্কুলের নাম।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই হেয়ার স্কুলে পড়াশোনা করেন ক্লাস সেভেন পর্যন্ত।
অত:পর ভারত বিভাগের পর রসায়নবিদ পিতা মনসুর রহমানের বদলী করাচিতে হলে জিয়াউর রহমান ভর্তি হন
করাচির বিখ্যাত একাডেমি স্কুলে।সেখান থেকে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাশ করেন জিয়াউর রহমান।
হেয়ার স্কুলের উইকিপিডিয়া সাইটে প্রবেশ করে দেখতে পারেন। তাদের স্কুলের বিখ্যাত ছাত্রদের নামের তালিকায় বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু সহ আরো বিখ্যাত ব্যক্তির সাথে জ্বলজ্বল করছে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম!
এরপর জিয়াউর রহমান ভর্তি হন পাকিস্তানের করাচির বিখ্যাত ডি,জে সাইন্স কলেজে।
সেই কেলেজের উইকিপিডিয়া সাইটে তাদের বিখ্যাত ছাত্রদের নামের তালিকায় জ্বলজ্বল করছে জিয়াউর রহমানের নাম।
সেই কলেজ থেকে ইন্টার পাশ করে
জিয়াউর রহমান গেলেন মিলিটারি একাডেমিতে।
পড়াশোনা করেছেন ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটিতে।
আসলে এই বা’ল দলটি এবং তাদের নেত্রীর কোন কিছুর জবাব দিতে এখন ঘেন্না লাগে।
একজন মানুষ একটা দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে কিভাবে এত অনর্গল মিথ্যা বলতে পারে?
বিল গেইটস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রেজুয়েট কমপ্লিট করতে পারেন নাই। অথচ আজ তার অধীনে কাজ করছে দুনিয়ার সেরা গ্রেজুয়েটরা।
বিল গেইটস তো আমেরিকান নাগরিক। আমাদের দেশের পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম। যিনি নিজের নাম লিখতে কলম ভেঙ্গে ফেলতেন। সেই হাশেম সাহেবের প্রতিষ্ঠিত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আজকে দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ। যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে আসছে হাজার হাজার গ্রেজুয়েট!
ক্রিকেট বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান এর তালিকা করা হলে নাম আসবে শচীন রমেশ টেন্ডুলকারের।
শচীনের গ্রেজুয়েশান নাই।
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন এইট পাশ। অথচ আজ নজরুলের লিখা কবিতা আজ দেশে-বিদেশে পাঠ্য হচ্ছে!
যে বেগম খালেদা জিয়াকে এইট পাশ বলে তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। সেই খালেদা জিয়া এই দেশের মেয়েদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছেন।
সেই বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের শিক্ষাঙ্গনকে নকল মুক্ত পরিবেশ উপহার দিয়েছেন।
এই বেগম খালেদা জিয়ার মুখ দিয়ে আপনি কোনদিন খিস্তি খেউড় শুনেন নাই।
এই বেগম খালেদা জিয়া কোনদিন বলেন নাই একটা লা*শের পরিবর্তে দশটা লা*শ চাই।
অথচ যে মহিলা জিয়া পরিবারকে নিয়ে মুখ খুললেই নোংরা কথা উগড়ে দিচ্ছেন,
উনার নামের পাশে ক্রয় করা ৫০ এর অধিক ডিগ্রি আছে।
কি লাভ এই সকল ডিগ্রি দিয়ে?
দিন শেষে পেশা তো আপনার “ভো’ট চু’রি”!!