সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার নানা কাজ করছে। তারই ধাবাহিকতায় শোনা গিয়েছিল মহা সড়কে নিষদ্ধ হতে যাচ্ছে মোটরসাইকেল। তবে শেষপর্যন্ত প্রত্যাখিত হয়েছে সেটি, জানা গেছে মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ন্যাশনাল রোড সেফটি কাউন্সিল (এনআরএসসি)। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে এনআরএসসি সভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বৈঠকে মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা নিষিদ্ধ করার চেয়ে বাইক নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেলের জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জমা দেবে।
এর আগে চলতি বছরের জুনে জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছিল সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
তবে যেসব জাতীয় মহাসড়কে ‘সার্ভিস রোড’ আছে সেসব সড়কে মোটরসাইকেল চালানোর পক্ষে মত দিয়েছে সংগঠনটি।
বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ের এক কর্মশালায় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করা হয় যে, গত ঈদুল ফিতরে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি আগের তিনবারের তুলনায় বেড়েছে।
এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ তথ্য দিয়েছে যে ২০২১ সালের ঈদুল ফিতরে ৫৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮ জন না ফেরা দেশে যায় । প্রতিদিন গড়ে ৭ জন না ফেরা দেশে যায়। ঈদের গত আট দিনে ১০৬টি দুর্ঘটনায় না ফেরা দেশে যায় ১০৬ জন।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার তখন বলেছিলেন, গত ঈদ সফর তুলনামূলকভাবে নির্বিঘ্ন ছিল। যানজট ছিল না। কিন্তু দুর্ঘটনা বেড়েছে। বেশির ভাগ দুর্ঘটনা মোটরসাইকেলের কারণে হয়। সাধারণভাবে মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনা বেশি হয়।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী। বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন পাঠানসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, সড়কে প্রতিনিয়ত ঝরছে প্রাণ আর এই দুর্ঘটনার বোরো একটি অংশ হল মোটরসাইকেল। তাই মহা সড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছিল তবে শেষমেষ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখিত হয়েছে।