জনসংখ্যা বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা তবে অতীতে বাংলাদেশে জন্মহার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সেভাবে কাজ করেনি যেমনটি বর্তমানে করছে যার ফলে এই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। তিনি বলেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ যা অর্জন করেছে তা পাকিস্তান করতে পারেনি। বাংলাদেশ একটি সঠিক জনসংখ্যা নীতি প্রণয়ন করতে পেরেছে। জন্মহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু পাকিস্তান এ কাজে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল দাবি করেছেন যে যদি বাংলাদেশে প্রজননের হার ১০ বছর ধরে পাকিস্তানে একই থাকত, তাহলে পাকিস্তানিদের মাথাপিছু জিডিপি কমপক্ষে ১৫ শতাংশ বেশি হত। পাকিস্তানের বর্তমান আর্থ-সামাজিক সমস্যার একটি বড় কারণ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনার অভাব। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র পথ তাদের সামনে খোলা আছে তা হল জনসংখ্যা পরিকল্পনার দিকে নজর দেওয়া।
করাচিতে সম্প্রতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানে যদি প্রতি বছর ৫.৫ মিলিয়ন শিশু জন্ম নেয়, তাহলে আপনি জনসংখ্যা পরিকল্পনায় কবে মনোযোগ দেবেন? তিনি বলেন, আমরা এখানে আটকে আছি। বাংলাদেশ, তিউনিসিয়া ও মিশরের নাম উল্লেখ করে মিফতাহ ইসমাইল বলেন, পাকিস্তানের মতো এসব দেশে মুসলিম সমাজের অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু তারা সবাই জনসংখ্যা পরিকল্পনা করেছিল, শুধুমাত্র আমরা করিনি।
মিফতাহ ইসমাইল উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মতো দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলো সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, গত ৭৫ বছরে ‘ভুল নীতির’ কারণে পাকিস্তান সমস্যায় জর্জরিত। যখন আমরা বারবার সরকার প্রধান পরিবর্তন করছিলাম, ভারত পাঁচটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে। গবেষণা ও শিক্ষার মাধ্যমেই তারা এই পর্যায়ে এসেছে।
উইকিপিডিয়া অনুসারে, পাকিস্তানের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২৪২ .৯ মিলিয়ন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ২৪৪ জন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ছোট আয়তনের দেশ হয়েও বেশ ঘনবসতিপূর্ণ এর কারন হচ্ছে অতীতে দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সেভাবে গুরুটিতো সহকারে দেখা হয়নি তবে বর্তমান সময়ে এটি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।