বর্তমানে বিনোদন জগতে আলোচিত হচ্ছে পরিমনির সময় শরিফুল রাজ্ এবং ঢাকায় সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে নিয়ে একের পর এক স্ট্যাটাস পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের নিয়ে। কার দোষ কার গুন্ তা বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রবাসী লেখিকা মিলি সুলতানা। নিচে তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল –
নাজিফা তুষি হাওয়া সিনেমার রহস্যময়ী নারী চরিত্র। শেষদৃশ্যে রিভিল হয়েছিল নাজিফা তুষি এক মৃত আত্মা। ভালো লেগেছিল মেয়েটাকে, প্রশংসা করে আমার টাইমলাইনে পোষ্টও দিয়েছিলাম। কিন্তু পরীমণি রাজ মিম ইস্যুর লেজ ধরে জানতে পারলাম রাজ এই নাজিফা তুষিকেও জুস বানিয়ে খেয়েছেন। তুষির সাথে রাজমিয়া “আলুর কোর্স” কমপ্লিট করেছেন। শরীফুল রাজ দেখছি পাকিস্তানি লেডি কিলার ইমরান খানের নাবালক ভার্সন। রাজ হয়তো বাল্যকালে বালিশের নিচে ইমরান খানের ছবি রেখে ঘুমাতেন। নারী দেখতে দেখতে ইমরানের মত “ঝানু নারীখোর” হয়েছেন রাজ। রাজমিয়ার
চারিত্রিক মহিমা দেখে কেবল অবাক হচ্ছি। মানুষের আলুর দোষ থাকতে পারে। কিন্তু রাজের আলুর দোষ দেখছি বহুদূর গড়িয়েছে। বিদ্যা সিনহা মিমের সাথে “আলুর কোর্স” কমপ্লিট করার আগে রাজের লটরপটর ছিল হাওয়ার নায়িকা নাজিফা তুষির সাথে। নাজিফা তুষিও তাগড়া রাজের সাথে আলুর কোর্স হয়ত আরও কিছুদিন কন্টিনিউ করতে চেয়েছেন। কিন্তু তার আগে তুষিকে তুড়ি মেরে খেদিয়ে দিয়েছেন মাল্টি ট্যালেন্টেড বিদ্যা সিনহা মিম। মিম কাদের সংস্পর্শে ছিলেন দেখতে হবেনা?
মিম- সনি পোদ্দারের বেডরুমের দেয়াল ভেঙে খবর বেরিয়ে এসেছে, নিজের চালচলন নিয়ে বাসররাতের আগেই পোদ্দারের সাথে মিমের ফয়সালা হয়ে গিয়েছে যে, পেশার কারণে মিমকে রাতে বিরাতে বাইরে যেতে হতে পারে। এমনও হতে পারে তাকে হয়ত বাইরেও রাত কাটাতে হতে পারে। মিমের বর সনি পোদ্দার তার আইফোনে ফেসবুক টুইটার ইনস্টাগ্রামের চাইতে ক্যালকুলেটর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন। সারাক্ষণ তাকে মিমের টাকা পয়সার হিসাবনিকাশ করতে হয়। মিম দেখলেন তার ব্যক্তিগত হিসাব রক্ষক হিসেবে সনি পোদ্দার পারফেক্ট। মিমের পাঁচমিশালী লাইফ স্টাইল নিয়ে পোদ্দারের কোনো মাথাব্যথা নেই। স্বামীর চেয়ে হিসাবরক্ষক হিসেবে পোদ্দার বেশি কমফোর্টেবল।
পরীমণি হয়ত নিজেকে বদলাতে চেষ্টা করছেন। তিনমাসের শিশুবাচ্চাকে সামলাচ্ছেন, ঘর সংসার সামলাচ্ছেন। নিজের ভুলগুলো কেউ যখন সংশোধন করার চেষ্টা করে তখন তাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দেয়া মানবিক কাজ। কিন্তু পরীর পিঠপিছে রাজ তার সাথে জঘন্যতম গাদ্দারি করেছেন। শরীফুল রাজ নামের এই নারীখোর নরাধমকে ধিক্কার জানাই। পরীমণির উচিত হবে লুচুয়া রাজের পুরুষদন্ডে শক্ত করে একটা পাঁচফোড়ন দেওয়া।