টিউশন শিক্ষকের নেতিবাচক কর্মের একটি ঘটনা ঘটেছে কেরানীগঞ্জ এ সেখানে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পড়াতে গিয়ে ওই টিউশন শিক্ষক ওই ছাত্রীর ছবি তুলে সেটি নিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে এবং সে রাজি না হওয়ায় পোড়োবাওড়টিতে তার মেক প্রস্তাব দেওয়া হয়।
দশম শ্রেণির ছাত্রী সুমি (ছদ্মনাম। শিক্ষক মো. মামুন (৩১), একই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। ওই এলাকায় শিক্ষকতা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সুমি যখন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত তখন গৃহশিক্ষক মামুন তাকে শিক্ষকতা করতেন। পাঠ চলাকালে গোপনে সুমির এর ছবি মোবাইলে তোলা হয়।সেসব ছবি প্রকাশ হয়ে যাবে এই ভয়ে মামুন বিভিন্ন সময় সুমির আরও কিছু ছবি তোলে।সুমি ভয়ে পরিবারের কাউকে না বলে।
এরপর অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষায় সুমির পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় অভিযুক্ত মামুনকে শিক্ষকতা থেকে বাদ দেয় পরিবার। এরপর অভিযুক্ত মামুন সুমিকে স্কুলে যাতায়াতের সময় তোলা সেই ছবি প্রকাশের হুমকি দেয়।
প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সুমির পরিবারের ছবি ব্যবহার করে তার মায়ের নামে একটি ফেক ফেসবুক আইডি খোলেন। ফেসবুক আইডি থেকে মামুন সুমির মায়ের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়ে প্রস্তাব দেন।
মামুনের প্রস্তাবে সুমির মা সাড়া না দিলে সে সুমির ছবি পাঠিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেয়। বিভিন্ন সময় আসামি মামুন ওই ভুয়া আইডির মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন খারাপ ছবি ও ভিডিও সুমির মায়ের কাছে পাঠাতো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মামুনের তোলা ছবি প্রচারের ঘটনায় সুমির পরিবার সিআইডির সাইবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। সিআইডির সাইবার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়।
এরপর শুক্রবার সকালে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে ওই মামুনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজাদ জানান, মামুনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষ নানা কর্মকান্ড করছে এবং দেখা যাচ্ছে অনেকেই নানা নেতিবাচক কর্মকান্ডে নিজেদের নিয়োজিত করছে যার ফলে সমাজে নানা ধরণের প্রভাব বিরাজ করতে শুরু করেছে।