সম্প্রতি পূজা চেরিকে নিয়ে আবারো আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে শাকিব খান এর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছিল যা নিয়ে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রবাসী লেখিকা মিলি সুলতানা। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
বাংলাদেশের ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রিতে একজনের মুখের আহার আরেকজনের কেড়ে নেয়ার ট্রেন্ডটি চালু হয়েছে ভালোভাবেই।ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রায়হান রাফির “ফ্লোর নম্বর ৭” ছবিতে বুবলি যেভাবে হাইহিলের শব্দ তুলে মাধবীলতার মত এঁকেবেঁকে স্টাইলিশ ভঙ্গিতে হেঁটেছেন, তখন আমি ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে গিয়েছিলাম। গত বছর ঠিক এভাবেই ঘরওয়ালি বুবলির কাছে একটা সিক্রেট ইনফরমেশন গিয়েছিল যে, বাহারওয়ালি পূজা চেরি তার আঙিনায় হানা দিয়েছেন। ব্যস, আর যায় কই?
চোখ বন্ধ করে দুরন্ত গতিতে ঘরওয়ালি বুবলি হাজির হলেন সেখানে। বাহারওয়ালি পূজা চেরিকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই বুবলির সমস্ত রাগ ক্রোধ একীভূত হল। বুবলির পায়ের সাইজ সাড়ে সাত নম্বর। পা থেকে দামী হাইহিল খুলে হাতে নিয়ে বাহারওয়ালি পূজা চেরি এমন পেটালেন, বেচারি পূজা চেরির সৌন্দর্য ডিসকালার হয়ে গেল। হাইহিলের মাল্টিপল অ্যাকশনে পূজা চেরিকে ইউনাইটেড হাসপাতালে দৌড়াতে হয়েছিল। সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন। মনের দুঃখে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের দু’চারটা ক্লিক নিলেন, সেলফিও নিলেন ভিকটিম হিসেবে। সেদিন বুবলি যেটা করেছেন তার নীতিগত অবস্থান থেকে করেছেন। বুবলির জায়গায় অন্য কেউ হলে এটাই করতেন। বুবলির হাতে “অ্যায়সা মার” খেয়ে পূজা চেরির চোরি চোরি চুপকে চুপকে প্রেম করার শখের গ্যাসবেলুনটি ফেটে যায়।
এদিকে জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজের সাথে পূজার শক্ত রেষারেষির কারণে তার ক্যারিয়ার আটকে গেল। সাপুড়ে আবদুল আজিজ বিন বাজিয়ে শঙ্খ পড়া দিয়ে পূজাকে রুপালি পর্দায় ব্লক করে দেন। তার “হৃদিতা”এবং”গলুই” ফ্লপ হয়। দর্শকমনে তখনই নায়িকার কদর হয় যখন রুপালি পর্দায় তার আকর্ষণীয় অবস্থান থাকে। সেই হিসেবে পূজার ইমেজ ভ্যালু জিরো। এদিকে পূজার মা ঝর্ণা রায় প্রমাদ গুনলেন। মেয়েকে পারফেক্ট সোনার ডিমপাড়া হাঁস হিসেবে গড়ে তুলেছেন তিনি।
৩৬৫ দিন রোজ একটা করে সোনার ডিম দেবে মেয়ে। আমেরিকা প্রবাসী ব্যবসায়ীর সাথে হৃদ্যতা গড়ে ওঠে পূজার। পূজা ও তার মায়ের আমেরিকার ভিসা করিয়ে দেন এই ব্যবসায়ী। প্রচুর ইউএস ডলার দেখে চোখ ছানাবড়া ঝর্ণা রায়ের। তিনি মেয়েকে কৌশলগত টেকনিক শেখালেন। পূজার সৌন্দর্যে গদগদ ব্যবসায়ী ভদ্রলোক। মা মেয়ে তাকে বলির বকরা বানিয়ে কামিয়ে নিতে লাগলেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এই দিলখোলা ব্যবসায়ী পূজাকে ইন্ডিয়া পাঠালেন অ্যাওয়ার্ড নিতে। অ্যাওয়ার্ড কিনে নিলেন হিউজ অ্যামাউন্ট দিয়ে। ভদ্রলোকের আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা সাবাড় করেছেন মা মেয়ে।
এরইমধ্যে বাংলাদেশের এক ধনকুবের পূজা চেরিকে টেক কেয়ার করার দায়িত্ব নিলেন। দুবাই ভ্রমণে নিলেন পূজাকে। এর বিনিময়ে ঝর্ণা রায়ও বিস্তর সুযোগ সুবিধা পেলেন। মেয়ের কল্যাণে দুবাইতে ল্যাভিশ লাইফ লিড করলেন কিছুদিন। নীল সাগরের বুকে বিলাসবহুল ইয়টে কারা চড়ে বোঝেন তো?? সেই ধনকুবেরের আশীর্বাদে কেল্লাফতে হয়ে গেল পূজা চেরির। অসম্ভবকে সম্ভব করে ছাড়লেন বিশিষ্ট ধনকুবের। ছোট্ট একটা ইশারার মাধ্যমে জাজ মাল্টিমিডিয়ার সাপুড়েকে ম্যানেজ করে ফেললেন। পূজাকে প্ল্যাটফর্ম দেবে জাজ মাল্টিমিডিয়ার “খতরনাক খিলাড়ি”।সেই সূত্রে পূজা চেরিকে স্ট্যাটাস লিখে দিলেন সেই “খতরনাক খিলাড়ি”। আর মিস চেরি কায়মনোবাক্যে সেটা কপি পেস্ট করে তার টাইমলাইনে ঝুলিয়ে দিলেন নিজেকে পচিয়ে। মেয়েরাই মেয়েরদেরকে পণ্য বানায়।পুরুষের দোষ দিয়ে কি লাভ?