এবার বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনিকে সাথে তার স্বামীর বিচ্ছেদের খবর নিয়ে মিডিয়াপাড়ায় হৈচৈ শুরু হয়েছে। অভিনেত্রী পরীমনি জানান, রাজের সঙ্গে এখন আর এক ছাদের নিচে থাকেন না। শিগগিরই বিচ্ছেদের চিঠি দেবেন বলেও জানান তিনি। যদিও তার স্বামী বিষয়টি নিয়ে মিডিয়াকে এখনো কিছু বলেননি। এদিকে রাজ মুখ না খুললেও পরীমনি-রাজ একসঙ্গে আছেন বলে দাবি করছেন তার বাবা মুসলিম মিয়া। তিনি বলেন, ‘শুটিং শেষ করে রাজের বাসায় ফিরতে একটু দেরি হয়। এতে পরী রেগে যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। যার ফলে পরীর এমন অবস্থা হতে পারে।
রাজের বাবা আরও বলেন, পরী একটু ঈর্ষান্বিত হলেও তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের কোনো সম্ভাবনা নেই। রাজ-পরী আর আমরা সবাই একসাথে। আশা করছি তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকবে।’ মূলত, গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে নায়িকা লেখেন, ‘শুভ থার্টি ফার্স্ট সবাইকে! আজ আমি রাজকে আমার জীবন থেকে সরিয়ে দিয়ে অসুস্থ সম্পর্ক থেকে নিজেকে মুক্ত করেছি। জীবনে সুস্থ থাকার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই।
তবে ‘হলিডে’ শব্দের অর্থ আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ কি না তা স্পষ্ট করেননি অভিনেত্রী। তাই তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে তা বলা যাবে না। পরে একটি গণমাধ্যমে তিনি জানান, তারা এখনো আলাদা হননি। পরীমনি বলেন, ‘এখনও বিচ্ছেদ হয়নি। কিন্তু আমি সম্পর্ক ভেঙ্গে রাজের বাসা থেকে বেরিয়ে আসি। আজ আমরা বিচ্ছিন্ন। আমি শিগগিরই বিচ্ছেদের চিঠি পাঠাব।’
বিচ্ছেদ নিয়ে পরী আরও বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সমস্যা ছিল। সমস্যা কাটিয়ে উঠার পর সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। তার আচরণে সামঞ্জস্য নেই। তাই বাধ্য হয়েছি। বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেছি।আমার মানসিকতা এখন ভালো নেই, এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।
উল্লেখ্য, পরীমনি ও রাজ গত বছরের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন। তবে খবরটি প্রকাশ্যে আসে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি। ওই দিনই ঘোষণা দেন তাদের সন্তান আসছে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের অনুষ্ঠানও করেন তারা। চলতি বছরের ১০ আগস্ট পরীমনির কোলে রাজ্য আসে।