বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রবাসীরা,প্রতিমাসে তারা তারা তাদের উপার্জনের টাকা দেশে স্বজনদের পাঠায় যা দেশের রেমিট্যান্স হিসেবে পরিচিত। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে বড় একটা প্রভাব বিস্তার করে থাকে। তবে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখে পরে অনেকসময় প্রবাসীরা তাদের অর্জিত অর্থ দেশে পাঠাতে বিড়ম্বনায় পরে যান
সেপ্টেম্বর মাসে দেশের ৮টি ব্যাংকে প্রবাসীরা একটি টাকাও পাঠাননি। যেকোন পরিমাণ রেমিট্যান্সের জন্য কোন নথির প্রয়োজন হয় না। সরকার অনেক আগেই এমন বার্তা দিয়েছে। তবে দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে রেমিট্যান্স আসার সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি। সেই ব্যাঙ্কগুলিতে কেউ এক টাকাও পাঠায়নি। যদিও সরকার প্রবাসী আয়ে আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসের রেমিট্যান্স প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এটি দেখায় যে বিদেশী ব্যাঙ্ক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাঙ্ক এবং ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনও রেমিট্যান্স আসেনি।
এছাড়া দেশীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত ব্যাংক রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (আকাব), বেসরকারি বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
এদিকে ডলার সংকট নিরসনে ও প্রবাসী আয় বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেরাই ডলারের দাম নির্ধারণ করছে। ডলারের দাম ভালো পাচ্ছেন প্রবাসীরা।
বাফেডা ঘোষিত মূল্য অনুযায়ী, দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো এখন প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা কিনতে পারবে। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) সর্বোচ্চ দর ছিল ১০৮ টাকা।
উল্লেখ্য, প্রবাসী রেমিট্যান্স অনেকটাই কমে গিয়েছে হঠাৎ করে তার মধ্যে দেখা গেছে দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক এ কোন রেমিট্যান্স ঢোকেনি।এদিকে সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে ৬৯টি দেশি-বিদেশি ব্যাংক এ মাসে মোট ১৫৩ কোটি ৯৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।