বিএনপির আন্দোলনে সব ধরণের পরিবহন বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা বিএনপির অভিযোগ ক্ষমতাসীন দল এই পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছে যার ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে তবে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির অগ্নিকাণ্ড ও সন্ত্রাসের ভয়ে বাস মালিকরা বাস বন্ধ করে দিলে আমরা কী করতে পারি।
রোববার (৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের সমাপনী অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০১৩-১৪ সালে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়েছে। বাসে আগুন, রাস্তায় সিএনজি বন্ধ করে পেট্রোল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তারা মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। সেই ভয়ে বাস মালিকরা বাস বন্ধ করে দেন।
সংসদ নেতা বলেন, বৈশ্বিক সংকট চলছে, মূল্যস্ফীতি ও ডলারের দাম বাড়ছে, ফলে বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশগুলো বিপর্যয় ও সংকটের মুখে পড়েছে। কিন্তু আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানি বাড়াতে হবে।
এদিকে দেশে এখনো যে পরিমাণ মজুদ রয়েছে তা দিয়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, এর আগে খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দেখা গিয়েছিল পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল যার ফলে ব্যাপক ভোগান্তিতে পরে বিনপির নেতাকর্মীরা। তবে সেই সব উপেক্ষা করে দূর দূরান্ত থেকে অনেকে পায়ে হেটে এসে সমাবেশে যোগদান করেছিল।