মার্কিন যুক্তরাতের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একটি মাদার ভেসেলকে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা সমলাচনা হচ্ছে এবং এই কারনে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আব্দুল হাই সঞ্জু। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্য রাশিয়া যে জাহাজে করে পাঠায়, ‘উরসা মেজর’ নামের সেই জাহাজটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিষয়টি ‘তাজ্জব’ লেগেছে জানিয়ে ভবিষ্যতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা নেই এমন জাহাজে করে পণ্য পাঠাবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকা জাহাজে পণ্য না পাঠিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে তলব করে নিয়ে গিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আন্দ্রে রোদেনকো তাঁর দপ্তরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে নিয়ে গিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার সরকার তাদের জনগণের প্রশ্নের মুখে পড়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বিশেষ করে একাত্তরের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে বাংলাদেশকে প্রবলভাবে সমর্থন করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন কি আবারও বলবেন, এই তলবের ঘটনায় তিনি আবারও ‘তাজ্জব’?
সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়, অর্থাৎ ভারতের স্ত্রী আর সবার গার্ল ফ্রেন্ড থাকার নীতি কি এখনও চলবে?
ঢাকার স্বামী আর বয় ফ্রেন্ডরা কি কেবল প্রতারণা করতেই থাকবে আর ঢাকা ‘তাজ্জব’ হতেই থাকবে?