প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারত সফরে গিয়েছিলেন এবং এই সফর নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে এবং এখনো সেই আলোচনা চলমান রয়েছ। রাজনৈতিক অঙ্গনে ও এই প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে এবং দেখা গেছে ভারত সফর নিয়ে প্রাপ্তি কি হলো বা কি সুবিধা বাংলাদেশকে ভারত দিল তা নিয়ে কথা উঠছ। এব্যাপারে সামাজিক জোগাজোগ মাধ্যমে একটি স্টেটাস দিয়েছেন খোমেনী এহসান, পাঠকদের জন্য নিচে তার স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো –
ক্রমেই ভারতের গোলাম হয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমার যে পর্যবেক্ষণ তা মূলতঃ মুন্নী সাহার বক্তব্যে ভালোমতেই উঠে এসেছে। তারা হাসিনার লগে প্রতি মেয়াদেই ভারতে যায়, শুরুতে যে খাতির পেয়েছে গোলামী জোরদার হতে থাকলে তা কোন রূপ নিয়েছে চ্যানেল আইয়ের সোমা ইসলামের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে৷ সোমা বলছে তাদের সঙ্গে কুকুরের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। এখন কথা হলো মুখাস্ত সব তত্ত্ব ফত্য দিয়ে কিছু লোক যে বিশাল বিশ্লেষণ করে ফেলে তারা কতটুকু খোঁজ খবর রাখে যে ভারতের এই কুত্তা ব্যবহার ঢাকাতেই স্পষ্ট হয়ে গেছিল ২০১৪ সালের পর।
দালাল সাংবাদিকরা যারা দূতাবাসে হাজিরা দিত তারাই বলেছে যে ভারতীয় কর্মকর্তারা তাদেরকে অনেক নীচহীন হিসাবে ট্রিট করে, পূজা পার্বনেও তারা দুই মুঠ কিছু খেতে পায় না, পানীয়ও জোটে না। এখন আমাদের কাজ হলো, আগেভাগে জানা পরিস্থিতির ডেভেলপমন্টের আলোকে কথা বলা। তাই আমরা বলেছি যে, বাংলাদেশে ভারতের কর্তৃত্ব জোরদারের বিষয়টিই হাসিনার এবারের সফরের মূল ব্যাপার। একে কোনোভাবেই হাসিনার পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়ার ফালতু গল্প হিসাবে দেখা যাবে না। আরেকটা কথা, যারা ভারতের গোলাম নয়, তাদেরকে ভারত নিপীড়ন করতে পারলেও কুকুর হিসাবে ট্রিট করে না কখনো। ভারত বিরোধীরা শেরে বাংলা ছিল ও আছে। মুন্নী ও সোমারা কী তা তারা নিজ মুখে বলেছে৷ মূলতঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাদীরা ভারতের কাছে কুকুরই বটে, তারা কখনোই মুসলিম জাতীয়তাবাদী সমান ছিল না এবং হবেও না।