সম্প্রতি গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে মূলত ভোট অনিয়ম হওয়ার কারনে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন এবং এর পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা।
নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর বলেন, আর্থিক সংকটের কারণে অনিয়মকে সুষ্ঠু বলে মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মো: আলমগীর বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রিজাইডিং অফিসার। তারা গণমাধ্যমের কাছে চিঠি নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসারদের এ ধরনের চিঠি দেওয়ার অনুমতি নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের বক্তব্যের একটি নির্দিষ্ট রূপ থাকে। ফর্মের বাইরে কথা বলার সুযোগ নেই। এর বাইরে কেউ বক্তব্য দিলে তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
ইসি আলমগীর আরও বলেন, সিসি ক্যামেরায় আমরা নিজেরা ভোটের পরিস্থিতি দেখেছি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা স্বেচ্ছায় নাকি চাপের মুখে এটা করেছে। আস্থাহীনতার কারণেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে,বিষয়টি এমন নয়। কর্মকর্তাদের সবাই তো খারাপ নন তাদের যেমন আমাদের ওপর আস্থা আছে, তেমনি আমাদেরও তাদের ওপর আস্থা আছে।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে একই ডিসি, একই এসপি একইভাবে ভোটের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তাই একটি খারাপ হলে অন্যটি খারাপ হবে না।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনতে এবং নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলো মনিটরিং করার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে নির্বাচন কমিশন এবং এই সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং এর মাধ্যমে একাধিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে