দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় নারী পাচারের ঘটনা ঘটে থাকে এবং এই ধরণের ঘটনা মূলত গ্রামাঞ্চলে বেশি ঘটে। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে ৯ বছরের এক শিশুর সাথে। মূলত ঢাকা থেকে অপহৃত ৯ বছরের এক শিশুকে দুবাইয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ও অপহরণের অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী ৫ম শ্রেণির ৯ বছর বয়সী ছাত্রী।
র্যাব জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে দুবাই প্রবাসী শহিদুল করিম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ভুক্তভোগীর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে । পরে তার পরিবার জানতে পারে শহিদুল বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে নারী পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত। ভুক্তভোগীর বোনকে বিয়ের নামে দুবাই নিয়ে নাইট ক্লাবে বিক্রি করে দেয় শহিদুল। এরপর স্ত্রীর ছোট বোনকেও পাচারের পরিকল্পনা শুরু করেন তিনি। ফলে গত ৩ জানুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পর নিখোঁজ হন ভিকটিম। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবার জানতে পারে অভিযুক্ত শহিদুল ও তার সহযোগী সাকিব ও নুরুজ্জামান ভিকটিমকে অপহরণ করে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ঢাকার শাহ আলী থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭ জানতে পারে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই আসামি ও আশ্রয়কেন্দ্র চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে আবু সুফিয়ান ও শারমিন কাওসার হান্না নামে দুইজনকে আটক করে র্যাব-৭। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামি নুরুজ্জামানকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, নারী পাচারের এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা সিন্ডিকেট সদস্যদের সহায়তায় অসহায় মেয়েদের ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুবাই পাচার করত।