বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তার আরো একটি বড় পরিচয় হল তিনি জনপ্রিয় লেখক হুমাযুন আহমেদের স্ত্রী। বিভিন্ন সময় তিনি তার কর্মকান্ডের কারনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হন এবারেও তার ব্যাতিক্রম নয়। তাকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রবাসী লেখিকা মিলি সুলতানা। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
কোলন ক্যান্সারের কারণে হুমায়ূন আহমেদকে তখন নিউইয়র্কে অবস্থান করতে হয়েছিল। একদিন একটি পত্রিকায় অনেকটা এই রকম একটা কলাম লিখলেন হুমায়ূন, “আমি ক্যান্সারে ভুগছি। এসআই টুটুল আমাকে দেখতে বাসায় আসেনি। টুটুল গিটার হাতে নিয়ে নিউইয়র্কের রাস্তাঘাটে আমার জন্য কান্নাকাটি করছে আর গান গেয়ে বেড়াচ্ছে। আমি কিন্তু এখনো মরিনি, বেঁচে আছি……………”!!
লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন আমেরিকায় অনেকবার এসেছেন। লেখকের সাথে ও তাঁর মৃত্যুর পরেও আসা যাওয়া করছেন। ১১ই ডিসেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চম হুমায়ূন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্মেলন। আগেই বলেছি শাওনের আমেরিকার ভিসা বাতিল হয়ে গেছে। যার কারণে প্রধান সমন্বয়কারী হয়েও তিনি হুমায়ূন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্মেলনে অংশ নিতে পারবেন না। শাওনের ছবি দিয়ে পোস্টার বের করা হয়েছিল। ভিসা বাতিলের পর পোস্টারের ডিজাইন বদলে গেছে, শাওনের ছবি বাদ দেয়া হয়েছে। কি কারণে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস শাওনের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে তার অনুসন্ধান করে জানা গেছে, শাওন এতদিন B-1/B-2 ভিসা অর্থাৎ ভিজিট ভিসা ক্যাটাগরিতে আমেরিকায় আসা যাওয়া করেছেন।।
এই ভিসায় শুধু পারফরম্যান্স করার অনুমোদন নেই। অর্থ্যাৎ মার্কিন সিটিজেন বা ইমিগ্র্যান্টদের মত সুযোগ সুবিধা পাবেন না। যেমন, বাচ্চাদেরকে কোনো স্কুলে ভর্তি করাতে পারবেন না। যদিও শাওন তার ছেলেদের নিউইয়র্কের জামাইকার একটি স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন। যা ছিলো সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত। আইনের চোখে তিনি বড় ক্রাইম করেছেন।
মেহের আফরোজ শাওন স্পেশাল ওয়ান ক্যাটাগরিতে (EB-1) ভিসার আবেদন করেছিলেন আগেই। এক্সট্রা অর্ডিনারীদের জন্য এই ভিসা চালু করা আছে। এই ক্যাটাগরিতে আসা ব্যক্তিরা তাদের ছেলেমেয়েদেরকে আমেরিকার স্কুল কলেজে পড়াতে পারবেন মার্কিন সিটিজেনদের মতই। শাওনের সেই আবেদন যেহেতু প্রক্রিয়াধীন আছে।
এরমধ্যে তিনি পুনরায় কোনো ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। কিন্তু দূতাবাসের কর্মকর্তারা দেখতে পান স্পেশাল ক্যাটাগরিতে তার আবেদন অলরেডি জমা আছে। যার ফলে মার্কিন দূতাবাস শাওনের ভিসা বাতিল করে দেয়। জানা গেছে, মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে তিনি আর্গুমেন্টে জড়িয়ে পড়েন। যার ফলে অসন্তুষ্ট হয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা তাকে “ব্ল্যাক লিস্টেড” করেন। যার মেয়াদ ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।