সামাজিক জোগাজোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাজনৈতিক একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছ সেটি হল বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথকে দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দল। তাকে অব্যাহতি দেয়ার পর সামাজিক জোগাজোগ মাধ্যমে অনেকেই নানা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন তারই ধারাবাহিকতায় স্যোশাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক খোমিনী এহসান
হাসিনার পায়ের তলা বা পঙ্কজঃ বিশ্লেষণের মায়রে বাপ!
বাংলাদেশে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের নামে কতটা গাল গপ্পো চলে, অনুমান করে করে বড় কথা বলা হয় তার এক আদর্শ উদাহরণ পিনাকা ভট্টাচার্য।
এই ভদ্রলোক হাসিনার দিল্লী সফরের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিশ্লেষণ করে বলে দিছেন যো হাসিনার পায়ের তলা মাটি নাই। মোদি বা জয়শঙ্কর কেউ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে হাসে নাই।
এখন কথা পিনাকীই আবার বিশ্লেষণ করছেন, পঙ্কজ দেবনাথকে খেয়ে দিয়ে হাসিনা নাকি বার্তা দিল। কথা হলো পায়ের তলে মাটি না থাকলে হাসিনা কিভাবে আবার দিল্লীকে বার্তা দেয়?
মূলতঃ ইন্টারনেটে যা বললে লোকে খাবে তাই বলতে গিয়ে এরকম বিশ্লেষণ হাজির করা হয়। এক্ষেত্রে এক বাজে অভ্যাস হলো বামপন্থার তত্ত্ব করার কুখাসলত। মানে তথ্যের ঘাটতি তত্ত্ববাজি দিয়ে আড়াল করতে গিয়ে কথা বলা।
মূলতঃ হাসিনা কখন কী করে তার সঠিক তথ্য জানলে আন্দাজি বিশ্লেষণ করা লাগে না।
উনি কখন কাকে খেয়ে দেন তার অতীত খেয়াল করলে টের পাবেন পিনাকী বা অন্য বিশ্লেষকরা কিভাবে তথ্য ঘাটতিতে থাকে এবং চোখের সামনের ঘটনাগুলোর সমীকরণ মেলাতে অক্ষম।
হাসিনা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে খেয়ে দিছিলেন দিল্লীর সঙ্গে খাতিরের সময়।
আবার মার্কিনপন্থীদেরও খাতিরের সময় সাইজ করা হয়েছে৷ অবশ্য এতে হাসিনার চেয়ে ভারতের ভূমিকা প্রধান ছিল।