জিয়া অরফানেজ মামলাটি ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। ২০০৯ সালে মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। তবে এই মামলার বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া তবে এই মামলার রায় দেয়া বিচারপতির পরিবারের কোননা অর্থ আত্বসাতের অভিযোগে অভুযুক্ত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক শামসুল আলম। নিচে সেটি তুলে ধরা হল-
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাছান ফয়েজ সিদ্দিকের ভাতিজী সুস্মিতা নিউ ইয়র্কে টাকা চুরির অপরাধে অবশেষে দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। দন্ড হিসাবে তাকে চুরি করা ৬ লাখ ডলার ফেরতদান ও ৩ বছরের প্রবেশন দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি হাছান ফয়েজ সিদ্দিকীর ভাই বাংলাদেশের আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, যার কন্যা সুস্মিতা তাবাসসুম আমেরিকার নিউইয়র্কে জনতা ব্যাংক ফরেন একচেঞ্জে টেলিফোন অপারেটর থাকাকালে ৬ লাখ ৩ হাজার ৯ শত ৪৭ মার্কিন ডলার চুরি করেছিলেন, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৭ কোটি টাকার মত। টাকা চুরির পরে সুস্মিতা পালিয়ে চলে যায় বাংলাদেশে, পরে নিউ ইয়র্কে ফেরত আসার পরে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়।
এই সিদ্দিক পরিবার বাংলাদেশের উচ্চ আদালত দখল করে ছিল। বড় ভাই হাসান ফয়েজ সিদ্দিকও আপিল বিভাগের বিচারক ছিলেন। দু’ভাই মিলে তাদের বোনের জামাই সাবেক জেলা জজ আখতারুজ্জামানকে (জুনিয়র জজ হাওয়া সত্ত্বেও) হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক বানিয়েছেন! কিসের বিনিময়ে? বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ও ট্রাস্ট মামলায় হাসিনার ইচ্ছামত বানোয়াট রায় দেয়ার বিনিময়ে। যাতে ওনাদের দু’ভায়ের ভূমিকা থাকা অস্বাভাবিক নয়। এবার তাদের কন্যা বাংলাদেশের জনগনের টাকা চুরি করে আমেরিকায় সাজাপ্রাপ্ত! কেমন লাগছে?