সড়ক দুর্ঘটনা আসলেই খুবই দুঃখজনক একটি বিষয়। চালকের বেপরোয়া গতি এবং নিয়ম না মানার ফলে অনেকসময় এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে তবে এবার ভারতে ঘটেছে এমন একটি ঘটনা। বছরের প্রথম দিনে দুর্ঘটনায় এক তরুণী স্কুটার চালকের মৃত্যু হয়েছে। একটি গাড়ি তার স্কুটিকে ধাক্কা দেওয়ার পর তাকে ১২ কিমি টেনে নিয়ে যায়। আর তাতেই প্রাণ হারালেন ২০ বছরের তরুণী। মৃতের নাম অঞ্জলি।
এদিকে এ ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে রবিবার সকালে সুলতানপুরীতে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ২০ বছর বয়সী মেয়েটি একটি স্কুটারে চড়ছিল। এ সময় একটি বেপরোয়া গাড়ি স্কুটিকে ধাক্কা দেয়। মেয়েটির পা গাড়ির নিচে আটকে যায়। ওই অবস্থায় গাড়িটি তাকে প্রায় ১০-১২ কিমি টেনে নিয়ে যায়।
দিল্লি পুলিশ অফিসার হরেন্দ্র কে সিং বলেন, গাড়ির নম্বর দেখে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দাবি, তাদের গাড়ি একটি স্কুটিকে ধাক্কা দেয়। যাইহোক, তারা বুঝতে পারেনি যে যুবতীর পা আটকে গেছে এবং এর কারণে তাকে পুরো পথ টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পেশায় একজন ক্রেডিট কার্ড কালেকশন এজেন্ট, একজন চালক এবং একজন রেশন দোকানদার রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে মৃত মেয়ের মা রেখার দাবি, তার মেয়ের সাথে খারাপ কিছু করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েকে যখন পাওয়া গেছে করা হয়েছে তার গায়ে কাপড় ছিল না। খারাপ কিছু না হলে ঘটনাক্রমে পুরো পোশাকটি ছিঁড়ে ফেলা সম্ভব নয়। আমি এ বিষয়ে পূর্ণ তদন্ত চাই। আমি বিচার চাই।
এদিকে দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতি মালিওয়াল দাবি করেছেন, গাড়িতে থাকা পাঁচজনের সবাই নিষিদ্ধ দ্রব্য নিয়েছেন । তাঁর মতে, এই ভয়াবহ ঘটনার আরও তথ্য জানতে দিল্লি পুলিশকে তলব করা হয়েছে। এর পরই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, ভারতে বিভিন্ন সময় দেখা যায় নানা দুর্ঘনা ঘটে থাকে এবং এই সকল দুর্ঘটনার কবলে পরে না ফেরার দেশে চলে যায় অনেকে। চালকের অদক্ষতা এবং সেই সাথে নিষিদ্ধদ্রব্য নিয়ে গাড়ি চালানোর কারনে এমন ঘটনা প্রায় ঘটছে সেখানে।