কাতার বিশ্বকাপে শুরুতেই অঘটন ঘটিয়েছে সৌদি আরব তারা শক্তিশালী আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছে এবং তাদের এই জয়ে ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। এদিকে বিশ্বকাপের খবর কভার করতে গিয়ে ব্যাগ হারিয়েছেন আর্জেন্টিনার এক নারী সাংবাদিক। চুরি যাওয়া ব্যাগ ফেরত পেতে তিনি থানায় অভিযোগ করতে যান। পুলিশের কথা শুনে হতবাক এই সাংবাদিক।
ডমিনিক মেজগার নামের ওই নারী সাংবাদিক টোডো নোটিসিয়াস নামের একটি টিভির প্রতিনিধি হিসেবে কাতারে গিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগে রাজধানী দোহার কর্নিশে এলাকায় নিজের কাজটি করছিলেন তিনি। ঠিক তখনই কেউ একজন তার ছোট হ্যান্ডব্যাগের ভিতর থেকে আরেকটি ব্যাগ চুরি করে নিয়ে গেল। ওই ব্যাগের ভেতরে মানিব্যাগ, হোটেলের চাবি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল।
তিনি স্থানীয় থানায় চুরির অভিযোগ জানাতে যান। সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন যে তারা ব্যাগ ফেরত দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। পুলিশ অফিসার তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে ব্যাগটি নিয়ে যাওয়া চোর ধরা পড়ার পর কী ধরনের শাস্তি চায়—কাতার থেকে নির্বাসন বা পাঁচ বছরের জেল। বিষয়টি তাকে অবাক করেছে।
তার টিভি চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টিনার এই নারী সাংবাদিক বলেন, আমার সঙ্গে একটি ছোট হ্যান্ডব্যাগ ছিল, যাতে আমার প্রয়োজনীয় সবকিছু ছিল, আমার মানিব্যাগ, হোটেলের রুমের চাবি, কিছু ন্যাপকিন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দর্শকদের সঙ্গে নাচছিলাম। আমি বিশ্বাস করি যখন কেউ ব্যাগটি খুলে মানিব্যাগটি নিয়ে যায়। তখন বুঝতাম না। আপনি জানেন আমি লাইভ অন এয়ার ছিলাম, সেখানে শ্রোতা ছিল, জোরে গান ছিল। আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম, সেদিকে তাকাইনি।’
আর্জেন্টিনার এই নারী সাংবাদিক আরও বলেন, ‘লাইভ সম্প্রচারের পর আমি পানির বোতল কিনতে মানিব্যাগ বের করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু দেখো ওখানে নেই।’
আরেকটি বিষয় তাকে অবাক করেছে। অর্থাৎ পুরুষ পুলিশ অফিসার তার বিষয়টি দেখেননি। পরিবর্তে, তাকে মহিলা পুলিশের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি কেন আমি এখানে (মহিলা পুলিশের কাছে) তখন আমাকে বলা হয়, আমি একজন নারী তাই একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা আমার বিষয়টি দেখবেন।
এরপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় চোর ধরা পড়লে কী ধরনের শাস্তি তিনি আশা করেন। পাঁচ বছরের জেল বা কাতার থেকে বহিষ্কার। জবাবে তিনি বলেন, আইন তা দেখবে। আপাতত আপনার ব্যাগ ফেরত চাই।
প্রসঙ্গত, কাতার বিশ্বকাপ শুরু থেকেই নানা আলোচনার জন্ম দিয়ে চলেছে। খেলা উপভোগকারী দর্শকদের জিনিসপত্র ছুরুর ঘটনাও ঘটছে। এদিকে বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়াম এলাকায় ১৫ হাজার নিরাপত্তা ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ফলে পুলিশ সহজেই চোরকে শনাক্ত ও ধরতে পারবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাগটি তাকে ফেরত দেওয়া হয়।