পরিচালকদের নেতিবাচক কর্মকান্ডের শিকার হতে হয় বিভিন্ন সময় অভিনেত্রীদের। ভারতের কলকাতায় এমন অভিযোগ এনেছেন অনেক অভিনেত্রী। তারই ধারাবাহিকতায় পরিচালকের বিরুদ্ধে খারাপ কাজ করার চেষ্টার অভিযোগ আনলেন কলকাতার মডেল পূজা কুলে। অভিযুক্ত পরিচালকের নাম সুমন দাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে এই অভিযোগ করেছেন পূজা।
২০১৭ সালে, পরিচালক সুমন দাস পূজাকে অডিশনের জন্য ডাকেন। মূলত সাউথ সিটিতে দেখা করার কথা; পরে, মডেলটি দেরি হওয়ায় পরিচালক তাকে গলফ গ্রিনে তার ফ্ল্যাটে ডেকে নেন। অডিশন পর্ব শেষ হলে পূজা যখন বাড়ি ফেরার কথা বলেন, তখন পরিচালক তাকে থাকার প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় তার ওপর জোর খাটানো শুরু করে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পূজা বলেন, তিনি আমাকে থাকতে বলেছিলেন,আরো বলেছিলেন আমি তোমার জীবন বদলে দেব। আমি রাজি হইনি; চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি ফোনটি নিয়ে ফেলে দেন। আমি বাঁচাও চিৎকার করি। আমাকে ধরে বিছানায় ফেলে দিল। দুর্ভাগ্যবশত ঘটনাটি ভবনের পাশেই হচ্ছিল। যার জন্য আমার চিৎকার কারো কাছে পৌঁছায়নি। তিনি আমার হাত এবং মুখ চেপে ধরেছিলেন; নড়তে পারলাম না। তখন বলি আমি থাকবো।
বাথরুমে যাওয়ার পর ওই ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে নিজেকে আটকে রাখেন পূজা। সারারাত সেখানেই অবস্থান করেন। পরিচালক দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন; তাকে শাসন করেন। সকালে সাহস করে দরজা খুলে দিয়েছিলেন পূজা। পূজা রুম থেকে বেরিয়ে এসে হুমকি কণ্ঠে পরিচালককে বলেন, শো এখন হচ্ছে না, চিৎকার করলে সবাই শুনবে। আর তখনই ফ্ল্যাটের কলিং বেল বেজে উঠল। সে আমাকে বাথরুমে লক করে দরজা খুলতে গেল। আমি বাথরুমের দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলি কারণ এটি ফাইবার দিয়ে তৈরি; অবিলম্বে মহিলার কাছে যান এবং সাহায্যের জন্য হাত বাড়ান । তারপর মহিলা আমাকে তার নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে ব্যাপারটা সামাল দিয়েছিল।
এমন ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার পর যাদবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন পূজা। কিন্তু পুজোর সঙ্গে পুলিশ যা ব্যবহার করেছে তাতে সুবিচারের আশা ছিল না। কিন্তু সেই ঘটনা এখনও পুজোকে তাড়া করে। এমন পরিচালকের উপযুক্ত শাস্তি চান পূজা। এই মডেলের দাবি, পরিচালক আর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, সুমন দাস জি বাংলার ‘নেতাজি’, ‘অ্যাই পাপা সাহচারি’-এর ‘সোহাগ জল’ সিরিয়ালের পরিচালক। মডেল পূজার অভিযোগের বিষয়ে সুমন জানিয়েছেন ‘পুরোটাই মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’