Friday, March 24, 2023
বাড়িNational‘সুইস ব্যাংকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থ বেশি বেড়েছে বাংলাদেশের’

‘সুইস ব্যাংকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থ বেশি বেড়েছে বাংলাদেশের’

Ads

বিদেশে বাংলাদেশিদের অর্থ পাচারের ঘটনা নতুন কিছু নয় প্রতিনিয়ত দেশের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেছেন, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের আমানত দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত  ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
পীর ফজলুর রহমান বলেন, আমাদের আর্থিক খাত নিয়ে সুইস ব্যাংকের ২০২২ সালের প্রতিবেদনে এক বছরে ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অর্থ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ২০২১ সালে ছিল ৮৩৪৫ কোটি টাকা, ২০২০ সালে জমা হয়েছে ৫ হাজার ২০৩ কোটি টাকা। আমাদের টাকা বিদেশে চলে যায় কানাডায় যেখানে বেগম সেটেলড। সেখানে শুধু রাজনীতিবিদদের টাকাই পাচার হয় না, সেখানে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারাও বেগম পাড়া তৈরি করেন।

তিনি বলেন, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা। অনেকে মনে করেন, এটা প্রকৃত অর্থে ৪ লাখ কোটি টাকা। এত কোটি কোটি টাকা চলে যাচ্ছে মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে। এই পরিমাণ সংগ্রহ করা আবশ্যক. প্রয়োজনে আরও কঠোর হন। দুর্নীতির আখড়া এই গুটিকয়েকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরতে হবে।

দেশে বড় বড় প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এই জাপা সংসদ সদস্য।

তিনি বলেন, দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু বড় প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে বেশি এবং একই সঙ্গে দুর্নীতির সুযোগও রয়েছে। এটা বন্ধ করতে পারলে দেশ আরও এগিয়ে যেত।

তিনি বলেন, ২০২২ সালে আমাদের দুদকে ১৯ হাজার দুর্নীতির মামলা হয়েছে। কিন্তু দুদক গ্রহণ করেছে মাত্র ৪ শতাংশ। কিন্তু দুদক যাদের খালাস দিয়েছে তাদের তলব করেছে হাইকোর্ট। এর সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার। সরকারি প্রকল্পের শুরুতেই গলদ রয়েছে। সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে। সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির কারণে প্রায় সব প্রকল্পেই দুর্নীতি হয়। দরিদ্র মানুষের জন্য যে ডাটাবেজ তৈরি করার কথা তা চার বছর মেয়াদি প্রকল্প, যা সাড়ে নয় বছরেও শেষ হয়নি। এ প্রকল্পে ৬২৭ কোটি টাকা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার ২১ মাসের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি সাড়ে সাত বছরে শেষ হয়েছিল।

মাদকের বিষয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসা বাড়ছে। রোহিঙ্গারা মাদক নিয়ে আসলেও বিক্রি করতে পারে না। এ কারণে এদেশের মাদকের গডফাদাররা বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। এমন এক হাজার ১২২ জন গডফাদারের নাম এসেছে। এই সংখ্যা অনেক বেশি হবে। এসব গডফাদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি নতুন তালিকা তৈরি করে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের উচ্চহার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের ৬৯ শতাংশ ব্যক্তি পকেট থেকে ব্যয় করতে হয়, যার পরিমাণ ৫৪ হাজার কোটি টাকা। এ জন্য তারা দরিদ্র হয়ে পড়ছে। আর এত টাকা দিয়ে সরকারের কী হচ্ছে, এখানে দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা দূর করতে পারছি না।

দেশজ দুর্নীতির কারনে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে বেশ বিপাকে দেশের মানুষ। সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে দেখা যায় মানুষ দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে এবং সেই সাথে সেখানে নিজেদের বিলাসবহুল জীবনযাপন এর ঘন ঘটেছে।

Looks like you have blocked notifications!
Ads
[json_importer]
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments