Friday, March 24, 2023
বাড়িNationalযে কারনে চারিচ্যুত করা হল পুলিশের ১০৬ জন সদস্যকে

যে কারনে চারিচ্যুত করা হল পুলিশের ১০৬ জন সদস্যকে

Ads

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিষিদ্ধ দ্রব্য গ্রহণের ব্যাপারে বেশ কড়াকড়ি অবস্থান নেয় সরকার যার ধারাবাহিকতায় দেখা গেছে এই নিষিদ্ধ দ্রব্য নেওয়ার কারনে গত ২৭ মাসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ১০৬ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মেলামেশা, পারিবারিক কলহ ইত্যাদির কারণে পুলিশের এসব সদস্য নিষিদ্ধ দ্রব্যর প্রতি আসক্ত হয় । পুলিশের নিজস্ব তদন্তে ডিএমপিতে কর্মরত কনস্টেবল থেকে সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ১১৩ জনকে মাদকাসক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যার মধ্যে ১০৬ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম জানান, বাকি ৭ জনের বিষয়টি আপিল পর্যায়ে রয়েছে। এই বরখাস্ত কর্মীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়. তাই তাদের সর্বদা নজরদারিতে রাখুন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পুলিশের। সেই পুলিশ সদস্য যদি মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সে কীভাবে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই ছাঁটাইয়ের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ডিএমপি কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নগরবাসীর যতটা প্রত্যাশা ছিল, আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও আমরা হয়তো সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মাত্র ৩২ হাজার পুলিশ দিয়ে দুই কোটি নাগরিকের সেবা করা সম্ভব নয়। নাগরিকরা তথ্য দিয়ে সাহায্য করলে এটা সম্ভব।

৪৭ বছরে ডিএমপির বড় অর্জন প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সন্ত্রাস দমনই সবচেয়ে বড় অর্জন। কারণ কোথাও জঙ্গি দমন নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। এছাড়া খেলাধুলাসহ আন্তর্জাতিক সব আয়োজন সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অপরাধ সংঘটিত হলে তা সমাধানে আমাদের সাফল্যের হার ৯০ শতাংশের বেশি। ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা এর রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে ডিবিতে একটি ল্যাব নির্মাণ করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থাকবে এই ল্যাবে। একটি ছেঁড়া কাপড়, একটি কাগজের টুকরো, একটি মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট বা এ জাতীয় যেকোনো অংশ সহজেই কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারে। শিগগিরই করা হবে।’

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিএমপিতে পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট শুরু হয়। প্রথম দফায় সাতজনের ডোপ টেস্ট করা হলে অধিকাংশের ফলাফল পজিটিভ আসে। পরে, যখন বিভিন্ন ইউনিট থেকে আরও ১৮ জনের পরীক্ষা করা হয়, তখন একজন পজিটিভ আসে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। সন্দেহভাজন সব পুলিশ সদস্যের নিয়মিত ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১২ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ডিএমপি সূত্র জানায়, অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ল্যাবে এই শনাক্তকরণ পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট) করা হয়।

Looks like you have blocked notifications!
Ads
[json_importer]
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments