সৌন্দর্য এবং অভিনয় এই দুটি জিনিসের সমন্নয়ে মূলত বিনোদন জগতের তারকারা বোরো পর্যায়ে উঠে যান। অভিনেত্রী হওয়া মানে সুন্দর চেহারা।সঠিক চেহারা না হলে কি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো যায়? তবে এমন অনেকেই আছেন যারা এই চেহারা ব্যাতিত সিনেমায় আসায় অনেক কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হলেন সংঘশ্রী সিনহা মিত্র
পশ্চিমবঙ্গের মালদহ শহর থেকে এসে কলকাতা শহরের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ ছিল না সংঘশ্রী সিনহা মিত্র এর পক্ষে , তার বাবা মারা গেছেন। মায়ের ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না। ফলে সংসারের দায়িত্বও এসে পড়ে তার কাঁধে। সঙ্গী নিশ্চয়ই অভিনেত্রীর দাদা।
একদিকে টাকা রোজগারের চিন্তা। অন্যদিকে সংঘশ্রীর দীর্ঘদিনের প্রেম গলায় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও এরই মধ্যে তিনি টলিপাড়ায় নিজের জমি প্রায় সুরক্ষিত করে ফেলেছিলেন।
তিনি ‘কি করে তোক বালি’, ‘ফেলনা’ সহ বেশ কয়েকটি সিরিয়াল করেছেন। একদিকে জনপ্রিয়তা, অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তি। ভুল সম্পর্কের কারণে তার জীবনে টেনশন কম হয়নি। এটা কঠিন ছিল, কিন্তু ১১ বছরের সম্পর্ক ভাঙতে তিনি দুবার ভাবেননি।
অভিনেত্রী বলেন, “আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কেউ আপনাকে অপমান করলে তা সহ্য করবেন না। কেউ আপনাকে স্পর্শ করলে পালিয়ে যাবেন না। এটা তার দোষ মনে করবেন না. এগুলো অভ্যাস। সেটা কখনো বদলাবে না।”
সংঘশ্রী বলেন, “আমাকে ১১ বছর বয়সে শুনতে হয়েছে, ‘তুমি মোটা, কে তোমাকে অভিনয়ের সুযোগ দেবে’। অনেক মারতেন। তারপর আর সহ্য করতে পারলাম না। চল সেই সম্পর্ক ভেঙে ফেলি।”
সংঘশ্রী এখন খুব খুশি। বিয়ে করে চুটিয়ে সংসার করছেন। মায়ের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করেছেন। অভিনেত্রী হওয়ার লড়াইয়ে সঙ্ঘশ্রীর স্বামী সবসময় তার পাশে থাকেন। নিজেকে তাই ভাগ্যবান মনে করেন সংঘশ্রী।
উল্লেখ্য, সংঘশ্রী সিনহা মিত্র ভারতীয় একজন অভিনয় শিল্পী ক্যারিয়ারে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন এবং সেই সাথে দেখা যায় তার অভিনয়ের ভক্ত অনুরাগীদের সংখ্যা একেবারে কম নয়।