বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের ঘটনায় আবারো মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে ডেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে ঢাকা। এই নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে হামলার ঘটনায় চতুর্থবারের মতো ডাকা হল তাকে। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির হন।এসময় চিঠি হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টারশেল নিক্ষেপে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত ও পাঁচ রোহিঙ্গা নাগরিক আহত হওয়ার ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে আবারও তলব করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে এক মাসের মধ্যে চতুর্থবারের মতো সামরিক জান্তা শাসিত দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে গোলাগুলি চলে। ওই ঘটনায় রাখাইন রাজ্যের পাহাড় থেকে ছোড়া একটি মর্টারশেল এসে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখায় পড়ে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়। এছাড়া ওই ঘটনায় এক শিশুসহ পাঁচ রোহিঙ্গা নাগরিক আহত হয়েছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার ভূখণ্ডে থেকে ছোড়া একটি গুলি বাংলাদেশ সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় এসে পড়ে। এর আগে, ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে।
তারও আগে গত ২০ ও ২৮ আগস্ট বিকালের দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু এসে পড়ে।
এ ঘটনায় এক মাসেরও কম সময়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তিনবার ডেকে কড়া প্রতিবাদ করেছে ঢাকা। প্রতিবারই তার হাতে নোট ভার্বাল ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে সবশেষ ৪ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মাইনুল কবির একই ঘটনায় রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে তলব করে প্রতিবাদপত্র দেন।এর আগে ২১ ও ২৯ আগস্ট মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানায় ঢাকা।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের সীমান্তে মায়ানমারের গোলাবর্ষণ এর ঘটনা নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছিল দফায় দফায় বাংলাদেশের সীমান্তে তারা মর্টার সেল ছুড়েছে তবে জানা গেছে আরাকান আর্মির সাথে অজান্তাবাহিনীর লড়াই এর কারনে এই ঘটনা ঘটছে।